ধান বানতে গিয়ে শিবির গীত। প্রাক্তন বিধায়কের বক্তব্যে ক্ষোব্দ পত্রকাররা।
(বৈদ্য নাথ ভট্টাচাৰ্য ) লোক সভা নির্বাচনের প্রাক লগ্নে ইন্ডিয়া জোটের কুমার ঘাট বিভাগের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্টিত করা হয়। মূলত সর্ব ভারতীয় প্রেক্ষাপটে ইন্ডিয়া জোটের মূল লক্ষ্য কি? কেন মানুষ ইন্ডিয়া জোটকে ভোট দেওয়া প্রয়োজন। মোদী এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ব্যর্থতার চিত্র তোলা ধরা সহ লোকসভা নির্বাচন সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।কিন্তূ কুমার ঘটে ইন্ডিয়া জোটের আহুত সাংবা দিক সম্মেলনে পারিবারিক বিষয় সহ অনেক অপ্রাসঙ্গিক বিষয় উত্তাপন করা হয়েছে। শুধু তাই নয় কুমারঘাটে বহু পুরানো এক টি হত্যা কাণ্ডের বিষয় উত্তাপন করে পূর্বের এ বং বর্তমান সাংবাদিকদের ক র্মকান্ডের মধ্যে বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রা ক্তন বিধায়ক তার বক্তব্য বর্ত মান সাংবাদিক জগৎকে অপ মান করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।কুমারঘাট সিপিএম পার্টি অফিসে আহুত সাংবা দিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলে ন প্রাক্তন বিধায়ক বিজয় রায় বিভাগীয় সম্পাদক মিন্টু দাস রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন বৈষ্ণব,সিপিআই নেতা নীল মনি দেব,কংগ্রেস নেতা তরুণ সাহা, সুশেন্দ্র ভৌমিক সহ প্ৰমু খরা।সাংবাদিক সম্মেলনে ই ন্ডিয়া জোটের নেতারা প্রাথমি ক ভাবে প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন। উন্নয়ন নিয়ে ব ক্তব্য রাখতে গিয়ে বলা হয় কু মারঘাটে যা কিছু উন্নয়ন হয়ে ছে তা কিছু কংগ্রেস এবং বাম সরকারের আমলেই হয়েছে। কুমারঘাটে ব্লকস্থাপন হাসপা তাল স্থাপন করা হয় কংগ্রেস আমলে। মহকুমা অফিস সহ এসি অফিস কমপ্লেক্স স্থাপন করা হয় বামফ্রন্ট সরকারের আমলে।কিন্তূ বিজেপি জোট সরকারের আমলে কোন উন্ন য়ন করা হয়নি।বর্তমান মন্ত্রী বিধায়কের দ্বন্দে এবং গোষ্ঠী বাজীর কারনে কুমারঘাট এ বং ফটিক রায়ের বহু কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। দুটি বিধান সভায় খেলা মেলা বোম্বাই মার্কা অর্কেস্ট্রার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি করা হচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনে রথ কান্ড উৎস্তাপন করা হয়। রথ কাণ্ডে নিহতদের যেমন সরকারী চাকুরী দেওয়া হয়নি তেমনি দোষীদের চিহ্নত করে শাস্তি দেওয়া হয়নি। কংগ্রেস নেতা তরুণ সাহা অভিযোগ করে বলেন দুর্নীতির টাকা দিযে রথ তৈরি করা হয়েছিল। রথ কাণ্ডের মাস্টার মাইন্ডকে সরকার জালে তোলতে ব্যর্থ হয়েছে।প্রাক্তন বিধায়ক বিজ য় রায় দীর্ঘ দিন পর প্রকাশ্যে এসে বেফাঁস বক্তব্য রাখেন। তিনি পরিষ্কার ভাবে বলেন কুমার ঘাট সহ গোটা রাজ্যে বহু সাংবাদিক রয়েছেন। কিন্তূ একজন সাংবাদিক ও রথ কা ণ্ডের সঠিক তদন্ত করে দোষী কে খুঁজে বের করতে পারেনি। অথচ কুমারঘাটে এক সময়ে একটি হত্যা কান্ড সংঘটিত হ য়ে ছিল। এই হত্যা কাণ্ডে এক জন সাংবাদিক সঠিক তদন্ত করে দোষীকে খোঁজে বের ক রতে সাহায্য করেছিল। কিন্তূ এখনকার কোন সাংবাদিক এ ই কাজটি করতে পারছে না। বিজয় বাবু এখানেই থামেননি তিনি সং বাদিক সম্মেলনে পারিবারিক বিষয় ও উত্তাপন করেন। সম্প্রতি উনার পরি বা রের বেশ কয়েকজন সদস্য এ বং কন্যা জামাতা বিজেপি দ লে যোগদান করে। উনার বা ড়ি তেই মিটিং হয়। তিনি এই দল ত্যাগের কারন কি ব্যাখ্যা করে নিজের পক্ষে সাফাই গা ন। এতেই বিজয় বাবুর বক্তব্য সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে। সাংবাদিক দের বক্তব্য হল কোন খুনি এবং অভিযুক্ত কে খোঁজে বের করার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের। সাংবাদিক এবংপুলিশের ডিউটি এক নয় কিন্তূ বিজয়বাবু দুটিকে এক সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন। এই ধরনের বেফাঁস বক্তব্য রাখা থেকে বিরত থাকার জন্য প্রাক্তন বিধায়ককে সতর্ক থাকার জন্য বলা হচ্ছে।

0 মন্তব্যসমূহ