বিগত দিনগুলির বিধায়ক কিংবা মন্ত্রীদের হাতের নাগালে পাওয়ার ছিল সাধারণ জনগণদের ভাগ্যের মাপকাঠি।
মন্ত্রী কিংবা বিধায়কদের কাছে পাওয়া তো দূরের কথা তারা এলাকায় পরিদর্শন কিংবা এলাকার খোঁজখবর নিতে দেখা পাওয়া যেত খুবই কম। তবে বর্তমান ত্রিপুরা রাজ্যের ত্রিফল ইঞ্জিনের সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রায়ই দেখা যায় বিধায়ক কিন্তু মন্ত্রীদের এলাকার পরিদর্শনে কিংবা সাধারণ জনগণদের খোঁজখবর নিতে। তার ব্যতিক্রম নয় ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। তিনি নিজের বিধানসভা কিংবা রাজ্যের উপজাতি এলাকাগুলিতে প্রায়ই দেখা যায় পরিদর্শন করতে। রাজ্যের বিভিন্ন বয়েজ কিংবা গার্লস হোস্টেল গুলিতে প্রায়ই দেখা যায় ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে সুবিধা অসুবিধাগুলির কথা শোনা এবং নিজের চোখে দেখা। সবচেয়ে যে বিষয়টি রাজ্যজুড়ে একটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে,"" চায়ের আড্ডায় জনতার কথা"'। সাধারণ মানুষদের সুখ দুঃখ সহ চাহিদার কথা চায়ের আড্ডায় জনতার কথার মাধ্যমে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা কে।

২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের জাতি উপজাতি এলাকা গুলিতে বর্তমানে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্নাকে সকাল বিকাল হাতের নাগালেতে সুখ-দুঃখের কথা বলতে দেখা যাচ্ছে সাধারণ জনগণ। যা বিগত দিনগুলিতে দেখা যেত না। আজ থেকে কয়েক বছর আগেও মন্ত্রী কিংবা বিধায়কদের পাওয়া ছিল খুবই কষ্টসাধ্য। কিন্তু বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নিজেকে জনস্বার্থে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সেইরকম আদব কায়দায় নিজেকে প্রমাণিত করার জন্য একাধিক মন্ত্রী কিংবা বিধায়করা কাজ করে চলেছেন। প্রতিবারের মতো চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে গৃহস্থ সবজি দিয়ে সাথে কথা বলে তাদের সুখ দুঃখের কথা শুনেন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা । একদিকে মন্ত্রীকে পেয়ে সুখ দুঃখের কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেনি ছোট্ট বাজারের গৃহস্থ সবজি ব্যবসায়ী সহ জনগণনারা। বিগত সরকারের আমলে বিধায়ক কিংবা মন্ত্রী কে কাছে পাওয়া ছিল ভগবানের সমতুল্য। বিগত দিনের বাস্তব কথাটি অসত্য প্রমাণ করতে চলেছেন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। একটা সময় ছিল যেখানে মন্ত্রী বিধায়কদের কাছে পেতে গেলে পার্টির অনুমোদন থাকা একান্ত বাধ্যতামূলক। বর্তমানে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সেই কথাটা বিজেপির সক্রিয় কোন কার্যকর্তার মুখে শোনা যায়নি। যা প্রতিটা মুহূর্তে প্রমাণ করে চলেছে। হঠাৎ করে ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের জারুলং বাড়ি এলাকায় মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা কনভয় থেমে গেল। কারণটা অবশ্যই রাজ্য বাসীর কাছে অজানার কথা নয়। ""চায়ের আড্ডায় জনতার কথা""খবর সংগ্রহ করার তাগিদে ছুটে গিয়েছিলাম, ওই এলাকায়। দেখা গিয়েছে, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা ককবরক ভাষায় জনজাতি অংশের মানুষদের সাথে কি যেন বলছে। উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে ওই চায়ের আড্ডায়, নিজেদের সুখ-দুঃখের কথা বয়ান করছেন ওই এলাকার বসবাসকারী মানুষজনেরা। অভিযোগ করে মন্ত্রীকে জানালেন ওই এলাকায় বসবাসকারীরা বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংকট রয়েছে। বন্য দাঁতাল হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গৃহস্থ পরিবারগুলি। একাধিক সমস্যার সমাধানের জন্য মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মাকে"" চায়ের আড্ডায় জনতার কথা'য় জানালেন ওই এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনেরা। মন্ত্রী দেববর্মা ও তাদের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে সমাধান নিরসনের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নেতৃত্বে যে সরকার চলছে সেই সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় একই সুরে হাঁটলেন। ওই এলাকায় বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে আগামী দিনের মধ্যে পানীয় জলের সমস্যা দূরীকরণের ব্যবস্থা ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যান্য সমস্যাগুলি নিরসনের জন্য সরকার জনগণদের কাছে দায়বদ্ধ স্বীকার করেছেন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা।
0 মন্তব্যসমূহ