হিংস্র বানরের তান্ডবে ব্যবসায়ী মহল দিশেহারা!

 হিংস্র বানরের তান্ডবে ব্যবসায়ী মহল দিশেহারা! শুধু ব্যবসায়ী নয়! বিশেষ করে গ্রামীন এলাকার বাড়ি ঘরে ও বানরের উপদ্রব অব্যাহত রয়েছে। সুযোগ বুঝে যেকোনো কাঁচা সবজি নিয়ে চম্পট দিয়ে চলে যায়।


যেমন, সোনামুড়া মহকুমার ১৬ কিলোমিটার দক্ষিণে জনবহুল কাঠালিয়া বাণিজ্যিক এলাকা। আগে এমনটা মানুষের নজরে আসে না। সাম্প্রতিক বেশ কিছুদিন ধরে বানরের উপদ্রবে মানুষ অতিষ্ঠ। বিশেষ করে সবজি দোকান, ফলের দোকান এই সমস্ত দোকানগুলিতে খাদ্য সংগ্রহের হানা দিয়ে যে কোন ফল অথবা সবজি নিয়ে চলে যায় , এবং দালানের উপরে বসে বসে খেয়ে ফেলে। মানুষকে ভয় করে না। সংখ্যায় তেমন বেশি না হলেও পাঁচ থেকে ছয়টি বানর যথেষ্ট ক্ষতি করছে সবজি ব্যবসায়ীদের। শনিবার সকালবেলায় যখন দোকান সাজিয়ে সবজি ব্যবসায়ীরা কেনাকাটা শুরু করেছেন ঠিক এমনই সময় দেখা গেল কয়েকটি বানর পটাপট দোকানে হানা দিয়ে বিভিন্ন সবজি ও নিয়ে চম্পট দিয়ে চলে যায় দালানের উপর। এই সময়ের সংবাদ কর্মীকে কাছে পেয়ে সবজি ব্যবসায়ী শ্রীদাম দেবনাথ, শানু পাল, ফল ও কলা ব্যবসায়ী সনজিৎ মজুমদার এবং মতিলাল দাস জানান দেখুন, এমন যন্ত্রণা তো আগে ছিল না। বিগত কয়েকদিন ধরে বানরের উপদ্রবে এখন আমরা ব্যবসা করাটাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কি করে বুঝে উঠতে পারছিনা। তবু বনদপ্তরের কর্মীদের কাছে বিষয়টা নিয়ে কথা বলেছি কিন্তু তারাও কিছু বলছেন না।

প্রকৃত অর্থে বানরের উপদ্রব শুধুমাত্র কাঠালিয়া বাণিজ্যিক এলাকায় সীমাবদ্ধ নয়, কাঠালিয়া ব্লক এলাকার সমস্ত বাজার গুলিতে একই অবস্থা। এছাড়া বাড়িঘরে তো আগে থেকেই এই সমস্ত হিংস্র বানরের উপদ্রবে কোন সবজি করা দুঃসাধ্য।

সাধারণ অংশের মানুষ নিজেদের খাওয়ার জন্য বাড়িতে সবজির চাষ করলেই বানরের উপদ্রবে রাখা সম্ভব হয় না।

তবে, জনজাতি এলাকায় আবার বানরের উপযোগ নেই। এডিসি এলাকাতে রাবার বাগান থাকার কারণে সম্ভবত খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে বানর সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীর। যে কারণে এখন গ্রামীণ হাট বাজার গুলিতে জ্বালা যন্ত্রণা দিচ্ছে ব্যবসায়ী মহলকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ