এলাকাবাসীর সহযোগিতা নিয়ে বসত করা এক মহিলার বাড়িঘর ভেঙ্গে মারধর করে সেই অসহায় মহিলার জায়গা দখল করে নিল প্রভআবশালী এক দুষ্কৃতিকারী। জানা গেছে আমতলী থানার অন্তর্গত বাধারঘাট মাতৃপল্লী এলাকায় কল্পনা সরকার এবং উনার বৃদ্ধা মা সুমতি সরকারকে নিয়ে দীর্ঘ অনেক বছর ধরে ওই এলাকায় বসতবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছিল।
হঠাৎ ওই মহিলার বাড়ির পাশের বাউল চানাচুর এর মালিক উত্তম বাউলের নজর পড়ে ওই মহিলার বসতবাড়ি সহ জায়গার উপর। বহুদিন ধরে ই ওই মহিলার বাড়িতে বিভিন্নভাবে অত্যাচার চালিয়ে আসছিল। থানায় মামলাও হয়েছিল এবং পরে এলাকার মাতব্বরদের নিয়ে মীমাংসা সভাও হয় সেখানে অভিযুক্ত উত্তম বাউল ভুল স্বীকার করে তারপর কিছুদিন ভালো থাকার পর উত্তম বাউল জায়গা দখলের জন্য আবারো মরিয়া হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে গত শনিবার উত্তম বাউল এবং ইন্দ্র আচার্য ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে মারধর করে এবং মহিলার পরনের জামা কাপড় ছিড়ে মহিলাকে মুখ বেঁধে প্রথমের শ্রীলতাহানি করে এবং পরে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে, যখন কল্পনা সরকারের বৃদ্ধা মা মেয়ের চিৎকার শুনে ঘরে আসে তখন ওই বৃদ্ধা মহিলাকেও মারধর করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিকারী উত্তম বাউল এবং ইন্দ্র আচার্য। রবিবার সকালে পুনরায় আবার উত্তম বাউলের ঘনিষ্ঠ তনুশ্রী আচার্য এবং রত্না বাউল ওই মহিলাকে বেধড়কভাবে মারধর করে এবং সবাই মিলে একত্রিত হয়ে ওই মহিলার ঘর ভেঙ্গে ফেলে এমনকি ঘরে থাকা মহিলার কিছু স্বর্ণালংকার সহ নগদ ১৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতিকারী উত্তম বাউল সহ অন্যান্য দুষ্কৃতিকারীরা। পরে নির্যাতিতা কল্পনা সরকার নিজের সম্মান এবং প্রাণ বাঁচাতে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে পাড়ার এক বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে ওই মহিলা এলাকার কাউন্সিলর সহ এলাকার বিধায়ককে জানিয়ে আমতলী থানায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতিকারী উত্তম বাউল, ইন্দ্র আচার্য, রত্না বাউল এবং তনুশ্রী আচার্যের বিরুদ্ধে লিখিত আকারে মামলা দায়ের করে। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে আমতলী থানার পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করেনি। নির্যাতিতা কল্পনা সরকার এখনো ওনার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে নিজের প্রাণের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে আছে। এক অসহায় মহিলা এবং উনার বৃদ্ধা মায়ের উপর এই ধরনের জঘন্য ঘটনায় গোটা এলাকা জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠতে শুরু করেছে এবং দাবি তোলা হচ্ছে খুব শীঘ্রই যেন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা করা হয়। তবে রাজ্যে এখনো সম্পূর্ণভাবে মহিলারা নিরাপদ নয় এই ঘটনায় তা আবারও প্রমাণ হয়। রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষার জন্য রয়েছে মহিলা আইন এবং মহিলা কমিশন। এলাকার অনেকেই দাবি করছে রাজ্য মহিলা কমিশন যেন এই বিষয়টি তদন্ত করে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
0 মন্তব্যসমূহ