বাড়িতে পরপুরুষ ডেকে এনে রাতের অন্ধকারে মায়ের ফষ্টিনষ্টির কথা জানালো এক ছোট্ট নাবালিকা কন্যা।

 বাড়িতে পরপুরুষ ডেকে এনে রাতের অন্ধকারে মায়ের ফষ্টিনষ্টির কথা জানালো এক ছোট্ট নাবালিকা কন্যা।

জানা গেছে সুনামুরা মহকুমার বরদোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এরশাদ মিয়া গত ১৪ বছর আগে একই এলাকার শাহ আলম মিয়ার মেয়ে মৌসুমী আক্তার কে।

বিয়ের পর তাদের সংসার বেশ ভালই চলছিল। এর মধ্যে তাদের ঘরে জন্ম নেয় একটি কন্যা সন্তানের। এরপর এর স্বাদ মিয়া কন্যা সন্তান জন্মাবার পর তার স্ত্রী সহ কন্যাকে সুখে রাখতে বিদেশে কাজের উদ্দেশ্যে চলে যায়। বিদেশ থেকে এরশাদ মিয়া প্রতিমাসে স্ত্রীর কাছে রোজগারের টাকা পাঠাতো। আর অন্যদিকে স্ত্রী মৌসুমী আক্তার সোনামুড়া শ্রীমন্তপুর চেকপোস্ট সংলগ্ন শামীম হোসেন নামে এক রুপক এর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। এদিকে ঘরে থাকা এরশাদ মিয়ার বৃদ্ধ মা এই কর্মকাণ্ড দেখে পুত্রবধূ মৌসুমী আখতার কে বেশ কয়েকবার সাবধান করে কিন্তু পরকীয়া প্রেম বলে কথা কে শুনে কার কথা ! মৌসুমী আক্তার নিজের স্বামী এবং সন্তানের কথা না ভেবে প্রায় প্রতিনিয়তই তার প্রেমিক শামীম হোসেনকে রাতে বাড়িতে ডেকে নিতো এবং ঘরে তাকে নিয়ে ফস্টিনস্টি করত। অন্যদিকে ঘরে থাকা তাদের ছোট্ট কন্যা সন্তান এইসব ঘটনা পরিলক্ষিত করত। ছোট্ট মেয়েটির গর্ভধারিনী মা মৌসুমী আক্তার তার নিজের মেয়েকে বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়েছে যে এই ঘটনা যদি কাউকে বলা হয় তাহলে নিজের মেয়েকেই নাকি বালিশ চাপা দিয়ে খুন করবে। এদিকে নিজের প্রাণভয়ে ছোট্ট মেয়েটি কাউকেই কিছু বলেনি। আর এদিকে নিজের মেয়েকে বশ করে প্রায় প্রতিনিয়তই রাতের অন্ধকারে প্রেমিক কেটে কেনে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলত মৌসুমী আক্তার। এই ঘটনার মাঝখানেই এরশাদ মিয়া বিদেশ থেকে বাড়িতে চলে আসে। স্বামী বাড়িতে ফিরে আসার পর মৌসুমী আক্তার শারীরিক অসুস্থতার বাহানা দেখিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায় নিজের ছোট্ট সন্তানকে রেখে। আর এদিকে মৌসুমী আক্তার এর বাবা মৌসুমী আক্তার কে মেয়েকে সহ তার প্রেমিকের সাথে চেন্নাই পাঠিয়ে দেয়। চেন্নাই কিছুদিন থাকার পর পুনরায় মৌসুমী আক্তারের এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে এসে তার সেই প্রেমিককে বিয়ে করে কিন্তু শ্রীমন্তপুর এলাকার মানুষ তাদের এই সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকার করে। পরে এরশাদ মিয়া বাধ্য হয়ে তার নিজের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার সহ প্রেমিক শামীম হোসেন এবং মৌসুমী আক্তারের বাবা শাহ আলম মিয়ার বিরুদ্ধে সোনামুড়া থানায় লিখিত আকারে মামলা দায়ের করে। যদিও সোনামুড়া থানার পুলিশের পক্ষ থেকে এরশাদ মিয়াকে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করার প্রস্তাব দেয় কিন্তু তাতে কোনোভাবেই রাজি হয়নি এরশাদ মিয়া। তার দাবি পুলিশ যেন বিষয়টি সুস্থতা তদন্ত করে আইন অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তবে এই ক্ষেত্রে বলা চলে একদিকে মা শব্দটাকে কলঙ্কিত করা মৌসুমী আক্তার নিজের শারীরিক সম্পর্ক মেটাতে ব্যস্ত আর অন্যদিকে মায়ের এই কুকীর্তির জন্য ঘরে থাকা ছোট্ট কন্যা সন্তানটি আজ মায়ের সমস্ত আদর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত। তবে প্রকৃতপক্ষে তার জন্য কে দায়ী? কি দোষ ছিল অবুঝ ছোট্ট এই কন্যার সন্তানটি যেখানে অন্যান্য শিশুদের মত এই বয়সে মায়ের আদর ভালোবাসা পাওয়ার কথা ছিল সেই জায়গায় আজ সে মায়ের সমস্ত আদর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত তাহলে এরশাদ মিয়া কি তার স্ত্রীর মত মেয়েকে ভালোবাসা দিতে পারবে? কোথায় আছে ছোট্ট শিশুদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তার মায়ের। দিনরাত এই শিশুটি র খোঁজখবর তার মায়ের মত আর কেউ নিতে পারবে কি! তবে এই ছোট্ট শিশুটির এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কি ভারতীয় আইনি ব্যবস্থা, নাকি বর্তমান এই সমাজ ব্যবস্থা! তবে এই ঘটনার স্বীকার হয়ে রাজ্যে এমন বহু শিশুসন্তান রয়েছে যারা আজ মায়ের স্নেহ ভালবাসা থেকে বঞ্চিত। সত্যিকারের অর্থে মায়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হওয়া এমন শিশু সন্তানদের আগামী ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা অবশ্যই ভাবার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ