এক সময়ে ভোট আসলে হরি বিশ্বাস দের হরিনাম করেই দিন কাটাতে হত।অবস্থার পরিবর্তন হওয়ার কারনে সেই ভয় আর নেই।
========================== ======(বৈদ্য নাথ ভট্টাচাৰ্য )লেখক একজন ফ্রি লেন্স রিপোর্টার।=== ভোট মানেই এক সময়ে ছিল আতঙ্ক। ভোটের কথা শোনলে সবার বুকে থরথর করে কাঁপ ন শুরু হত।মনে অজানা কু চিন্তা বিরাজ করত যে কখন কি হয়ে যায়।ভোট মানেই খুন সন্ত্রাস,অপহরণ, গৃহদাহ,গ্রাম ত্যাগ। এই গুলি ছিল ভোটের অঙ্গ।রক্ত ক্ষয় ছিল অপরিহা য্য ঘটনা।ভোটের দুই মাস পূর্ব থেকেই মানুষের মনে অজানা ভয় জন্ম নিত। রাজ্যের মিশ্র জন বসতিপূর্ন এলাকায় এই পরিবেশ ছিল আরো মারাত্বক ও ভয়ঙ্কর।এডিসি এলাকায় বসবাসকারীরা রাত কাটতু অনিদ্রায় এবং দিন কাটত আ তঙ্কে।এইরূপ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন হরি বিশ্বাস নামে এক দীনমজুর।এক সময়ে বাড়ি ছিল ডেমছড়া কচুছড়া এডিসি আসনের মরাছড়া এলাকায়। হরি বিস্বাস জানালেন ভোটের মৌসুমে তাঁদের বেশির ভাগ সময় হরিনাম শ্রবন বা হরি কীর্তন করেই কাটাতে হত।ভোট পর্ব যাতে শান্তিতেভাবে অতিবাহিত হয় তার জন্য ভগ বানের নাম শ্রবন করা হত।এ ত কিছু করার পরেও হরি বি শ্বাসরা নিজেদের শেষ রক্ষা করতে পারেনি।সহাল সম্বল সবকিছু ফেলে প্রাণ নিয়ে জ ন্ম স্থান থেকে পালিয়ে এসে জীবন রক্ষা করতে হয়েছে।এই দিন মজুর ভোটার হরি বিশ্বাস জানালেন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মারাছড়া গ্রাম হঠা ৎ একদিন জ্বলে উঠে।গ্রামে ব ন্দুক বাজরা প্রবেশ করে গু লির আস্ফালন শুরু করে। নিমিষের মধ্যেই এগারোটি ত র তাজা প্রাণ বুলেট বৃদ্ধ হয়। মা টিতে লুটিয়ে পরে গ্রামের শিশু থেকে বৃদ্ধ, মহিলার মৃত দেহ।দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে গ্রাম।যে যার প্রাণ রক্ষা করতে দৌঁড়াতে শুরু করে।এক ঘন্টার মধ্যে গোটা গ্রাম জনশূন্য হয়ে উজাড় হয়ে যায়।প্রায় ২৭০টি পরিবার গ্রা ম ত্যাগ করে ভিটামাটি ছাড়া হয়।এদের অবশ্য আর গ্রামে ফিরে এসে পুনঃরায় বসতি স্থা পন করার ভাগ্য হয়নি।সবই ছিন্ন মূল হয়ে কেহবা আসামে চলে যায় কেহবা ইন্দুবাংলা সীমান্ত গ্রামে, কেহবা এদিক ওদিক যেদিকে সুযোগ পেয়ে ছে সেই দিকেই মাথা গোঁজার স্থান করে নিয়েছে।দেও ভ্যালি মনু ভ্যালির করাতিছড়া,মরা ছড়া,গঙ্গানগর, নদীয়াপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় এই পরিস্থি তির সৃষ্টি হয়েছিল।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুধু মাত্র করাতিছ ড়া বা মরাছড়া নয় রাজ্যের উ ত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম সর্বত্র একই পরিস্থিতি। একথা বাস্তবে সত্য যে এই রা জ্যে ভোটের বলি হয়েছে সাধা রণ জনতা থেকে জনপ্রাতিনি ধিরা ও। হরি বিশ্বাসদের গায়ে কোন রাজনৈতিক দলের লে বেল নেই।এদের পরিচয় দীন মজুর দীন। দীন মজুর হরি বিশ্বাস জানালেন এখন অ বশ্য সেই পরিস্থিতি নেই।অব স্থার পরিবর্তন হয়েছে।তাই সুযোগ পেলে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সবার সাথে মিলে ভোট দেবেন। ====================ক্যাপশন=দীন মজুর হরি বিশ্বাস কাজের ফাঁকেই পুরানো দিনের ভোটের কথা স্মৃতি চারনা করছেন। ছবি বৈদ্য নাথ ভট্টাচাৰ্য।

0 মন্তব্যসমূহ