৫৩ তম পূর্ণ রাজ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে, খোয়াই

 ৫৩ তম পূর্ণ রাজ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে, ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে সাথে খোয়াই জেলাতে সকাল থেকে নানাহ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়,

 আজ বিকাল ৪:৩০ মিনিটে খোয়াই নতুন টাউন হলে জেলা ভিত্তিক জনজাতি নিত্য প্রতিযোগিতা করা হয়, ডিস্টিক লেভেল ফোক ডান্স কম্পিটিশনে উপস্থিত ছিলেন, আজকের এই মহতি অনুষ্ঠানের উদ্বোধক পিনাকী দাস চৌধুরী, জনজাতি নেতা তথা বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা, খোয়াই জেলাশাসক চান্দনিচান রাই পৌর পরিষদের চেয়ারপার্সন দেবাশীষ নাথ শর্মা, এসছি ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান সমীর কুমার দাস , জেলা থেকে আগত প্রতিযোগিতা প্রতিযোগিনী ছাত্র-ছাত্রীরা ।

এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্য দিয়ে শুভ সূচনা করা হয়, প্রধান অতিথি উদ্বোধক এবং বিশেষ অতিথি তাদের আলোচনায় উঠে আসে ভারত বর্ষ স্বাধীন হওয়ার পরও, দেশবাসী দেশের স্বাদ পেতে অনেকদিন সময় লেগেছে, ত্রিপুরা রাজ্য ১৯৭২ সালে পূর্ণ রাজ্য এর মর্যাদা লাভ করে, কিন্তু তার স্বাদ পেতে রাজ্যবাসীর এবং জনজাতিদের অনেক সময় লেগেছে, ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ধীরে ধীরে জনজাতি এবং রাজ্যবাসী তার কিছুটা সফল লাভ করতে চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি এর ঘোষণা মোতাবেক ১ ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত এর ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে এবং ত্রিপুরাকে নেশা মুক্ত করতে ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা নিতে হবে, যুবক যুবতীরা অগ্রসর হতে হবে, যেমন খেলাধুলা শিক্ষা দীক্ষা সবকিছুতেই যুবক-যুবতীরা উদ্যোগ নিতে হবে তাহলেই ত্রিপুরা নেশা মুক্ত হবে, জনজাতিরা রাষ্ট্রবাদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এডিসি ভিলেজ এলাকায় দ্রুত গতিতে উন্নয়নের দিকে এগোচ্ছে, বলে আলোচনা করেন পৌর পিতা দেবাশীষ নাত শর্মা, আরো বলেন ভারতবর্ষের অন্য কোন রাজ্যে গেলে ত্রিপুরাকে চিনতো না বা জানতো না, আজকাল ত্রিপুরা রাজ্য জনজাতি ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেছে বলেই ত্রিপুরার নাম ভারতবর্ষের মানচিত্রে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। প্রথম পর্বের আলোচনার পর খোয়াই জেলা থেকে আগত জনজাতির নৃত্যের শিল্পীরা তাদের টিম একের পর এক নৃত্য করেন, আজকের দিনের অনুষ্ঠানে জনজাতিদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করা গেছে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ