ত্রিপুরা রাজ্যে আবারো এক মা ও তার ৪০ দিনের কন্যা সন্তান পাচারের শিকার।
জানা গেছে চরিলামের মিনুয়ারা বেগমের সাথে কমলাসাগর বিধানসভার অন্তর্গত ফুলতলী হঠাৎ কলোনী এলাকার সুরমা বেগমের ধর্ম আত্মীয় গড়ে উঠে। তারপর থেকে এই দুই পরিবারের আসা যাওয়া শুরু হয়। এরই মধ্যে গত ১৭ অক্টোবর শুক্রবার সুরমা বেগম গাড়ি নিয়ে যায় মিনুয়ারা বেগমের মেয়ে সুনালী আক্তার ও ৪০ দিন বয়সী নাতনি সুলতানা আক্তারকে তাদের বাড়িতে বেড়ানোর জন্য নিতে যায় এবং সোনালী আক্তারের মায়ের কাছে বলে কিছুদিনের জন্য বেড়াতে নিয়ে যায়। এরপর গত রবিবার সেই বাড়ি থেকে আচমকায় উধাও হয়ে যায় আর সোনালী আক্তার সহ তার ৪০ দিনের কন্যা সন্তান এবং তার মোবাইলটিও বন্ধ হয়ে যায়।
সোনালী আক্তার এর মোবাইল বন্ধ থাকায় তার মায়ের মনে সন্দেহ জাগে এবং সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে যায় সুরমা বেগমের বাড়িতে এবং সেখানে গিয়ে জানতে পারে সেই বাড়িতে সোনালী আক্তার ও তার ছোট্ট কন্যা সন্তানটি নেই। সেদিন সুরমা বেগমের কথাবার্তায় আরো সন্দেহ হয় মিনুয়ারা বেগমের। কোথাও নিজের মেয়ে এবং ৪০ দিনের নাতনিকে খুঁজে না পেয়ে অবশেষে মিনোয়ারা বেগম আমতলী থানায় লিখিত আকারে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে পুলিশের ভয়ে সুরমা বেগমও গা ঢাকা দিয়েছে। আমতলী থানার পুলিশ এই ঘটনায় সোনালী আক্তার এবং তার ৪০ দিনের কন্যা সন্তানকে খুজে বের করতে জোর তদন্ত শুরু করেছে। বুধবার দুপুরে মিনোয়ারা বেগম আবার আমতলী থানায় ছুটে যান মেয়ে এবং নাতনির কোন খোঁজ পেয়েছে কিনা। এদিন মিনুয়ারা বেগম আমতলী থানায় সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন যে উনার মেয়ে এবং ৪০ দিনের নাতনিকে সুরমা বেগম চক্রান্ত করে অন্যত্র পাচার করে দিয়েছে। তাই এদিন মিনোয়ারা বেগম পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন পুলিশ যেন খুব শীঘ্রই উনার মেয়ে এবং নাতনিকে খুঁজে বের করার ব্যবস্থা করেন। তবে রাজ্য শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশন রাজ্যের সমস্ত শিশুদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে, তাই এই সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশন ৪০ দিনের ছোট্ট কন্যাটির স্বার্থে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেখার বিষয়।
0 মন্তব্যসমূহ