দেবরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলেন বৌদি। ঘটনা শনিবার সকাল ১১ টায় বিশ্রামগঞ্জ থানার অন্তর্গত রামকৃষ্ণ পল্লী এলাকায়।
বৌদির পা ভেঙ্গে দিল দেবর। বৌদির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক না করতে পেরে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন সংবাদমাধ্যমে বৌদি । বৌদির নাম নমিতা বর্মন। অভিযুক্ত দেবরের নাম প্রদীপ বর্মন। বৌদি নমিতা বর্মন শনিবার সকালে সংবাদ মাধ্যমে জানায় বিগত 20 বছর ধরে তার দেবর তাকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।কখনো তাকে হোটেলে যাবার জন্য প্রস্তাব দেয় তার দেবর।। ২০ বছর ধরে বিবাহ হয়েছে নমিতা বর্মনের। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সন্তান হয়নি তাদের। যার ফলে বাড়িতে দেবর দেবরের বউ সবাই মিলে তাকে জ্বালাতন করে। বাধ্য হয়ে সাত বছর পূর্বে বিশ্রামগঞ্জ অনুকুল ঠাকুরের আশ্রমের সামনে জাতীয় সড়কের পাশে একটি টিনের ছাউনি দিয়ে দোকান ঘর তৈরি করে সেখানেই বসবাস করছেন নমিতা ও তার স্বামী। এই দোকান ঘরের মধ্যে নমিতা বর্মন এবং তার স্বামী দিলীপ বর্মন দোকানদারি করে এবং বসবাস করে। গত ২২ অক্টোবর অর্থাৎ কালীপুজোর দুদিন পরে রাত দুইটার সময় দেবর প্রদীপ বর্মন দোকান ঘরে গিয়ে দরজা জানালা লাথি মারতে থাকে। দোকান ঘর থেকে তার বৌদি বের হয়ে আসলে তাকে বলপূর্বক ধর্ষণ করার জন্য জঙ্গলে নিয়ে যায় মুখে চাঁপা দিয়ে। নমিতা বর্মন চিৎকার শুরু করলে তার দেবর তার ব্লাউজ
ছিঁড়ে ফেলে এবং তাকে একটি লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে। দেবরের লাঠির আঘাতে বৌদির পা ভেঙ্গে যায়। তাকে রাত্রিবেলায় নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্রামগঞ্জ হাসপাতালে। বর্তমানে বৌদি প্রতিবেশী এক আত্মীয়র বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। শনিবার সকালে দেবর প্রদীপ বর্মনের বিরুদ্ধে বিশ্রামগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। পাশাপাশি তিনি তার স্বামী এবং তার নিজের আত্মরক্ষার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাতজোড় করে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। দেবর প্রদীপ বর্মন সব সময় তাকে জ্বালাতন করে ধর্ষণের চেষ্টা বলে অভিযোগ করেছেন তার বৌদি। সে আরো হুমকি দেয় থানা আদালত সব তার পকেটে। তাকে নাকি কেউ কিছু করতে পারবে না। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বর্তমানে তার বৌদি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

0 মন্তব্যসমূহ