শান্ত আমবাসাকে অশান্ত করার চেষ্টা। শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত আমবাসাতে চলে তান্ডব। আমবাসা মোটরট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি।
বেশ কয়েক মাস আগে আমবাসা মোটর স্ট্যান্ড দখল করে নেয় দুলাল গোস্বামী নেতৃত্বে একটি টিম। তারপর কিছুদিন পরপরই ঝামেলা লেগে থাকত। শনিবার রাতে দুলাল গোস্বামীর নেতৃত্বে গোলক অধিকারী সহ বেশ কয়েকজন পুরাতন কমিটির বেশ কিছু কর্মীদের বেদরক মারধর করে রাস্তায় ফেলে। পুরাতন কমিটির নেপাল দেবনাথ সহ বেশ কয়েকজন বাজার করছিল সেই সময় গোলক অধিকারী সহ অন্যান্যরা তাদেরকে মোটর স্ট্যান্ডের ভেতর ঢুকিয়ে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করে। তারপর শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি। দুই পক্ষই আমবাসা জাতীয় সড়ক দখল করে নেয়। অভিযোগ দুলাল ভৌমিক ও গোলক অধিকারীর মার থেকে বাঁচতে আমবাসা থানার দারস্ত হয় পুরাতন কমিটির লোকেরা। সন্তোষ দে অভিযোগ করেন নতুন কমিটির বেশ কয়েকজন লোক দীর্ঘদিন ধরেই অরাজকতা চালাচ্ছে আমবাসা মোটর স্ট্যান্ডে। সিপিএমের বেশ কয়েকজন দালালকে নিয়ে আমবাসা মোটর স্ট্যান্ড দখল করে তারা। বিশ্বকর্মা পূজার সময় গাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে। মোটরস্ট্যান্ড লক্ষ লক্ষ টাকার ঘোটালা রয়েছে। এবং আজ সুযোগ পেয়ে তাদেরকে মারধর করে। এ বিষয়ে আমবাসা থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। রাতভর আমবাসা মোটর স্ট্যান্ড এলাকা সহ আমবাসা থানায় বিক্ষোভ চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গভীর রাতে ছুটে আসে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম বনিক সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাতভর পুলিশ টিএসআর দিয়ে শান্ত করার চেষ্টা চলে আমবাসাকে। দীপাবলীর আগে এমন ঘটনায় আমবাসার মানুষ অনেকটাই আতঙ্কে রয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ