ঘরে স্ত্রী সন্তান ফেলে অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালালো বিজেপির বুথ সভাপতি। ঘটনা শুক্রবার গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাঞ্চনমালা ১ নং ওয়ার্ডের ঋষিপাড়া এলাকায়

 ঘরে স্ত্রী সন্তান ফেলে  অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালালো বিজেপির বুথ সভাপতি।

ঘটনা শুক্রবার গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাঞ্চনমালা ১ নং ওয়ার্ডের ঋষিপাড়া এলাকায়। জানা গেছে ওই এলাকার বিকাশ ঋষি দাস দীর্ঘদিন ধরে কাঞ্চনমালা ১১ নং বুথের বিজেপি সভাপতি। বিজেপি তাকে বিশ্বাসের সাথে সত্য এবং নিষ্ঠা নিয়ে দল এবং এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে এই পদে বসিয়েছে কিন্তু বুথ সভাপতি বিকাশ ঋষি দাস  দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পার্শ্ববর্তী আনন্দনগর এলাকার রত্না ঋষি দাস নামে এক বিবাহিত মহিলার সাথে গোপনে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। এদিকে বিজেপি নেতা বুথ সভাপতি বিকাশ ঋষি দাসের ঘরে তার স্ত্রী সন্তান রয়েছে। জানা গেছে  বিকাশ ঋষি দাস ২০১২ সালে মালতী মনি দাসকে সামাজিক ভাবে বিয়ে করে। বিয়ের পর তাদের ঘরে এক মেয়ে এবং এক ছেলের সন্তানের জন্ম হয়। সন্তান জন্মাবার পর হঠাৎ বিকাশ ঋষি দাস তার নিজের চরিত্র পরিবর্তন করতে থাকে অর্থাৎ গোপনে পার্শ্ববর্তী এলাকা আনন্দনগরের রত্না ঋষি দাস নামে এক মহিলার সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। যদিও কোন এক সময় বিকাশের  স্ত্রী এই পরকীয়া সম্পর্কের কথা জেনে ফেলে এবং তখন তার স্ত্রী মালতী মনি দাস স্বামীকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু স্বামী বিকাশ ঋষি দাস  কোনমতেই তার প্রেমিকাকে ভুলতে পারেনি। অবশেষে শুক্রবার সকালে বিজেপির বুথ সভাপতি বিকাশ ঋষি দাস তার প্রেমিকা রত্না ঋষি দাস কে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে তার স্ত্রী যখন স্বামীর মোবাইল সুইচ অফ পান তখন আর বুঝার বাকি ছিল না যে বিকাশ ঋষি দাস তার প্রেমিকাকে নিয়ে প্রেমের দেশে পাড়ি দিয়েছে। বিকাশ ঋষি দাসের মা-বাবা সহ তার স্ত্রী সন্তান শুক্রবার সারাদিন সমস্ত জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পর কোন সন্ধান না পেয়ে অবশেষে শুক্রবার রাতে আমতলী থানায় এসে লিখিত আকারে স্বামী এই কুকীর্তি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকের শুক্রবার সন্ধ্যায় বুথ সভাপতি বিকাশ ঋষি দাসের এই কান্ড কীর্তির কথা জানাজানি হয়ে যায় গোটা এলাকায়। খবর যায় বিজেপির  কার্য কর্তাদের কাছেও। বিকাশের এই ঘটনার কথা শুনে দলের অন্যান্য কার্য কর্তাদের মধ্যে  ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এলাকায় যদি কেউ এই ধরনের ঘটনার সাথে যুক্ত হত তখন বুথ সভাপতি বিকাশ ঋষিদাস নিজেই তার প্রতিবাদ করতে হবে এবং তাতে সমাজের এবং এলাকার বদনাম বলে ব্যাখ্যা দিত আজ সেই বুথ সভাপতি বিকাশ নিজেই পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে ঘটনাটা যেন মনে হয় সর্ষের মধ্যেই ভূত। বুথ সভাপতি বিকাশ ঋষি দাসের এই কর্মকাণ্ডের  এলাকার সাধারণ মানুষের তরফ থেকে দাবি উঠছে দল যেন খুব শীঘ্রই এই ধরনের নেতাকে দলে না রাখে, কেননা যে নেতা এলাকার মানুষের ভুল শুধরে দেবে আজ সেই নেতাই সামাজিক কলঙ্কজনক ঘটনায় জড়িয়ে গেছে। তাই স্থানীয় এলাকাবাসীরা তাদের এলাকায় এই ধরনের চরিত্রহীন নেতাকে চান না যে নেতা ঘরে নিজের স্ত্রী সন্তানের কথা না ভেবে নিজের সুন্দর সংসার এবং অন্য আরেকটি সুন্দর সংসার কে ভেঙ্গে অন্য মহিলাকে নিয়ে পালিয়ে যায় এই ধরনের নেতা এলাকায় থাকলে এলাকার সামাজিক সম্মান নষ্ট হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ