সারা ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে ঊনকোটি জেলার জেলাসদর কৈলাসহরেও মুসলিম ধর্মের প্রধান উৎসব ঈদ পালন হল দিকে দিকে

 সারা ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে ঊনকোটি জেলার জেলাসদর কৈলাসহরেও মুসলিম ধর্মের প্রধান উৎসব ঈদ পালন হল দিকে দিকে। 

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এটি মুসলীম ধর্মাম্বলীদের ধর্মীয় উৎসব। সবাইকে সম্প্রীতির বন্ধনে বাঁধার সওগাত নিয়ে আসে ঈদ। এর আনন্দ থেকে ধনী-নির্ধন কেউ বঞ্চিত নন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতবর্ষেও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়ে থাকে। ঈদের সকালে সর্বস্তরের মুসলিমরা ঈদগাহে আসেন নামাজ পড়তে। সেখানে একে অপরে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর ঘরে ঘরে চলে বিভিন্ন খাবারের আয়োজন। এর মধ্য দিয়ে সমাজে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার হয়। ঈদের আনন্দ যেমন চেতনার ছোঁয়া মানবিকতা জাগ্রত করে। ঠিক তেমনি ধর্মীয় মূল্যবোধে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা শৃঙ্খলিত করে। ৩০ দিনের সিয়াম সাধনার পর ঈদের সকাল থেকেই দিকে দিকে শুরু হয় ঈদের জোরদার প্রস্তুতি। সকাল ৮-৩০ মিনিটে ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরের বাবুরবাজার জামিয়া ইসলামিয়া হোছাইনিয়া মাদ্রাসায় শুরু হয় ঈদের নামাজ। যেখানে হাজার হাজার মুসলিম ধর্মের ধর্মপ্রাণ মানুষ ঈদের নামাজ পাঠ করেন। নামাজকে কেন্দ্র করে উপচে পড়া ভিড় ছিল লক্ষ্যনীয়। নামাজ শেষে ত্রিপুরা রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন বিধায়ক মোবস্বর আলী বলেন যে, পবিত্র ঈদ সকলের জন্য বয়ে আনে আনন্দ। জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে ঈদ ধনী,গরিব সকলের জন্য। ঈদ পালনের মধ্য দিয়ে সৌভাতৃত্ববোধের প্রকাশ পায়। তাই আজকের এই উৎসবের দিন সকলের জন্য বয়ে নিয়ে আসুক আনন্দ। 


বাইটঃ মোবস্বর আলী (প্রাক্তন বিধায়ক)।


কৈলাসহরের বাবুরবাজার জামিয়া ইসলামিয়া হোছাইনিয়া মাদ্রাসায় নামাজ পালনের পর সকাল ৯টায় শুরু হয় টিলাবাজারস্থিত টিলাবাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে ঈদের নামাজ। হাজারো মুসলিম ধর্মের মানুষ সেখান নামাজ পড়ে ঈদ উৎসব পালন করেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে রাজ্যে বৃহস্পতিবার ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হচ্ছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ আজ সকাল থেকেই মেতে উঠেছে ঈদের আনন্দে। টিলাবাজার জামে মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে ঊনকোটি জেলা পরিসদের সদস্য তথা ঊনকোটি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোঃ বদরুজামান রাজ্যবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। রাজ্যের ঐতিহ্য মেনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে সর্বঅংশের মানুষ ঈদ উৎসবে শামিল হবেন বলে উনি আশাবাদী 


বাইটঃ মো: বদরুজামান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ