সোনামুড়া মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে গ্রামীন বাজার গুলিতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
একেবারে অসহায় সাধারণ পরিবারের ক্রেতারা।যাদের নুন আনতে পান্তাফুরায় তাদের অবস্থা অত্যান্ত করুন।এই সমস্ত পরিবার গুলি একেবারে অসহায়,কার কাছে বলবে সুখ-দুঃখের কথা। এমন লোক সমাজে খুঁজে পায় না।
বলেও কোন লাভ নেই, বরং নিজে দুর্বলতা অন্যের কাছে প্রকাশ করা এমনই পরিস্থিতি বিদ্যমান সমাজ ব্যবস্থায় চলছে ।এদিকে বৃহস্পতিবার কাঠালিয়া ব্লকের অন্তর্গত যতগুলি বাণিজ্যিক এলাকা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম বাজার কাঠালিয়া। ওখানে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দোকান আসে। পসরা সাজিয়ে বসে বিক্রির জন্য। কিন্তু দেখা গেল,একদিকে জিনিসপত্রের দাম যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরদিকে ক্রেতা সাধারনের সংখ্যাও অনেকটাই কমে গেছে হাট বাড়েও।ক্রেতাদের অভিযোগ সমস্ত জিনিসপত্রের দাম ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে একেবারে ওষুধ থেকে শুরু করে সবজি অব্দি। কিন্তু বাড়তি টাকা কোথায় পাবো?এমনিতে নেই রুজি রোজগার! তারপর জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।পরিবার কি করে চালাবো। এক শ্রেণীর মানুষ একেবারে অসহায়। নির্বিকার প্রশাসন!অপরদিকে অভিযোগ ছোটখাটো ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন পাইকারি হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে মালিকপক্ষ। এতে করে আমাদের খুচরা বিক্রি করতে হলে প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়তি মূল্য নিতে হচ্ছে ক্রেতাদের কাছ থেকে। এতে করে ক্রেতা সাধারণ কমে যাচ্ছে। আর যারা দোকানে মালপত্রের জন্য আসে তাদের সাথে তর্ক বিতর্ক হয়ে যায়। এই অবস্থা চলছে এখন গ্রামীণ বাণিজ্যিক এলাকা গুলিতে।
এছাড়া ব্লক এলাকার জনজাতি অধ্যুষিত বাজারগুলিতে জিনিসপত্রের দাম আরো বেশি।
যেমন, মনাই পাথর, কালিখলা, থলি বাড়ি ও জগতরামপুর এ সমস্ত এডিসি ভিলেজ এলাকার গ্রামীণ বাজার গুলিতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক দাম নেওয়া হচ্ছে ক্রেতা সাধারনের কাছ থেকে।
সরাসরি সংবাদকর্মীকে কাছে পেয়ে কাঠালিয়া বাণিজ্যিক এলাকার সবজি ব্যবসায়ী স্বপন দেবনাথ, প্রসেনজিৎ পাল দক্ষিণ মহেশপুর এই দুজনের বাড়ি।
সামান্য ব্যবসা করে পাঁচ থেকে ছয়জনের পরিবার চালানো তাদের পক্ষে অত্যান্ত কষ্টকর এখন।কারণ একটাই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি হচ্ছে কম।এতে করে একদিকে পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে অপরদিকে মহাজনের টাকা পরিশোধ করাও কষ্টকর হয়।সাধারণ মানুষের খেটে খাওয়া ব্যক্তি রাজেন্দ্র মজুমদার বাড়ি নির্ভয় পুর পঞ্চায়েত এলাকার যামিনী টিলা গ্রামে। সামান্য ভাতার টাকার উপর নির্ভরশীল।বাজারে এসে হাবুডুবু খাচ্ছে জিনিসপত্রের দাম শুনে।এই চলছে হাট বাজারের অবস্থা।

0 মন্তব্যসমূহ