পালন করা হয়। ১৮৩৮ সালের ২৬ শে জুন জন্মগ্রহণ করেন বাংলার বুকে এবং ছোট বেলা থেকেই অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন তিনি।

 আজ শিবনগরস্থিত আমরা বাঙালী রাজ্য কার্যালয়ে সাহিত্য সম্রাট ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম দিন পালন করা হয়। ১৮৩৮ সালের ২৬ শে জুন জন্মগ্রহণ করেন বাংলার বুকে এবং ছোট বেলা থেকেই অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন তিনি।


জন্মদিন উপলক্ষে রাজ্য কার্যালয়ে উনার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন রাজ্য সচিব গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল। আমরা বাঙালী দলের অন্যান্য সদস্যরা উনার চরণে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আমরা বাঙালী দলের প্রচার সচিব দুলাল ঘোষ বলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই বাংলার সমাজ জীবন ও সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা বন্ধ হয়ে যায়। তাই ভেঙে পড়া সমাজ জীবনে বাংলার মানুষ কে আলোকবর্তিকা দেখানোর জন্য ও স্বদেশ বাসীকে আত্মসচেতন করে তোলার জন্য ইংরেজদের অধীনে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এর চাকরি করা স্বত্ত্বেও তিনি ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গদর্শন পত্রিকার প্রকাশ শুরু করেন। এর থেকে আমরা বুঝতে পারি সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন নির্ভীক সাংবাদিক। বাংলা নবজাগরণের প্রধান প্রাণপুরুষ ছিলেন তিনি। বাংলা সাহিত্যে বিভিন্ন উপন্যাস ও প্রবন্ধ লিখে বাংলা সাহিত্য চর্চাকে প্রাণ দেন। তাই উনাকে বাংলা সাহিত্যের জনক বলা হয়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার বিভিন্ন উপন্যাসের মাধ্যমেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। উনার দেওয়া স্বদেশী গান বন্দেমাতরম বিপ্লবীদের ছিল আত্মাহুতির বীজ মন্ত্র। আবার তিনি ছিলেন একজন দক্ষ প্রশাসক। তাই ব্রিটিশ সরকার উনার কাজে সন্তষ্ট হয়ে ১৮৯১ সালে রায় বাহাদুর ও ১৮৯৪ সালে কম্পানিয়ন অফ দ্য এমিনেন্ট অর্ডার অফ দ্য ইন্ডিয়ান এম্পায়ার খেতাব দিয়ে সন্মানিত করেছেন। 

আবার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত আনন্দমঠে বাংলার গৌরব ময় অতীত ইতিহাস তুলে ধরেন। আবার ইংরেজদের আগমনে বাংলার নিঃস্ব রিক্ত সর্বশান্ত রূপের বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন ঐশ্বর্যময়ী জগজ্জননী জগদ্ধাত্রী মা যা ছিলেন আর এখন মা যা হইয়াছেন। তাই তিনি বলেন বাংলা ও বাঙালীর গৌরব পুনরুদ্ধার করতে হলে বাঙালী কে তার ইতিহাস জানতে হবে। তাই তিনি দুর্গতিনাশিনী মায়ের রূপ দেখে বলেছেন বাংলার হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে পারলেই জগজ্জননী মা আমার সর্বাঙ্গসম্পন্না সর্বাভরণভূষিতা ঐশ্বর্যময়ী হয়ে উঠবেন। আর তখনই বাংলা আবার শৌর্যবীর্যে শিক্ষা সংস্কৃতিতে, ত্যাগ তিতিক্ষ ও ভক্তিতে আলোকবর্তিকা হয়ে উঠবে এবং বাংলাই হবে বিশ্বের পথ প্রদর্শক।আর বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যের সাথে সুর মিলিয়ে প্রচার সচিব বলেন হে বাংলার তরুণ সমাজ, বাংলার বুদ্ধিজীবী সমাজ, বাংলার অগণিত মানুষের কাছে অনুরোধ আমরা মিশরীয় সভ্যতা ও সিন্ধু সভ্যতার মতো বাংলার মনীষীদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলার যে গৌরবজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করেছিলেন তাকে ধ্বংসের হাত থেকে বাচিয়ে আবার ফিরিয়ে আনি নূতন অধ্যিয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। আর না হলে বাংলা ও বাংলার মনীষীদের স্বপ্ন মিউজিয়ামে স্থান পাবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ