কৈলাসহরে অভিনব আন্দো লন। নজর কেড়েছে গোটা ত্রিপুরা।
=================================( বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য)====== যেমন কুকুর তেমন মুগুর।এর ফলিত প্রয়োগ পরিলক্ষিত হয়েছে কৈলাশহরে। গৃহস্থের কুকুরের আক্রমণে আহত হয় এক ব্যক্তি এবং একটি ছাগল এই গৃহস্থের কুকুরের আতঙ্কে আতঙ্কিত গোটা ভদ্র পল্লীবাসী একের পর এক আক্রমণ করে যাচ্ছে। ভুক্তভোগী এবং আত ঙ্কিত এলাকাবাসী কুকুরের মা লিককে জানিও কোন কাজ হচ্ছে না। বরং উল্টা চিত্র।কুকু রের মালিক উল্টা গ্রামবাসী দের বিভিন্নভাবে হুমকি ভয় ভীতি প্রদর্শন করে চলছে।
কিন্তু আজ দেখা গেল উল্টা চিত্র। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এই বড়লোকি অত্যাচারের বিরুদ্ধে অভিনব আন্দোলন সংগঠিত নজির সৃষ্টি করল। এলাকাবাসী প্রথমে একটি স্থান একত্রিত হয়। তারপর গেরস্থের বাড়িতে যায়। কুকুর মালিককে তাদের সাথে থানায় যেতে অনেকটা বাধ্য করা হয়। শেষমেশ বেগতিক দেখে প্রতিবাদী গ্রামবাসীদের সাথে থানায় যেতে বাধ্য হয়। কুকুর এবং কুকুর মালিককে থানায় হাজির করিয়ে মামলা করা হয়। আজ কৈলাসহর বাসী এই অভিনব আন্দোলন প্রত্যক্ষ করে। অনেকে এই ঘটনা সাথে সাথে শঠে শাঠঙ প্রবাদকে মিলিয়েছেন। কৈলা শহরের একটি পুরনো বাড়ি হল নাম গুণবাড়ী। গোনেদের দুটি বাড়ি রয়েছে। একটি কৈলাসহরের গোবিন্দপুরে এবং অপরটি চন্ডিপুর বিধানসভার ভদ্র পল্লীতে। দুই বাড়ির দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। এই বাড়ির এক সদস্য হলেন চন্দন গুণ। তিনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। চন্দন গুন বাবু প্রতিদিন তার বাড়ির পোষা বিদেশি কুকুরকে সাথে নিয়ে গোবিন্দপুর থেকে ভদ্র পল্লী গ্রামের দ্বিতীয় বাড়িতে যান।ভদ্রপলী বাসীদের অভিযোগ কুকুরটি যখন ভদ্রে আসে তখ ন মন উচাঠন হয়ে যায়। কুকু রটি এদিক-ওদিক দৌড়ঝাঁপ করে। অনেক সময় অপরিচিত মানুষ ও গবাদিপশুর উপর কামর বসায়। প্রায়ই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। গুন বাবুর পোশাক পুকুরের আক্রমণে ভদ্র পল্লী গ্রামের বেশ কয়েকজন মানুষ আহত হয়েছে। বাদ জায়নি ছাগল এবং গরু ও। এর প্রতিবাদে আজ বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী কৈলাশহর থানায় এসে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। কুকু রের আক্রমণে আহত মানুষ এবং গবাদি পশুদের ক্ষতি পূরণ দেয়নি। কুকুর মালিক চন্দন গুন বুধবার ভদ্র পল্লী গ্রামে এসে কয়েকজনের নাম ধরে অশ্লীল ভাষায় গালিগা লাজ দিতে শুরু করে। এতে এলাকাবাসীর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ক্ষুব্ধ এলাকায় মঙ্গলবার বৈঠ ক করে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আজ বুধবার কুকুর মালিক এবং কুকুর কে সাথে নিয়ে মিছিল সংগঠিত করে থানায় এসে হাজির হয়ে মামলা আদায় করে। যেমন কুকুর তেমন মুগুরের এই এই ধরনের আন্দোলন রাজ্যে প্রথম। অন্যদিকে চন্দন গুণের সহধর্মিনী বিপদের সময়ে স্বামীর পাশে দাড়ান। তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত সমস্ত অভিযোগ খন্ডন করেন ভদ্রমহিলার পাল্টা দাবি এলা কাবাসী তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। তিনি এলা কাবাসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন এলাকাবাসীর দ্বারা উনার স্বামী চন্দন গুন নিগৃহীত হয়েছেন। উনার স্বামী অসুস্থ অথচ স্বামীকে বেধড়ক মেরে তা স্বামীকে হাঁটিয়ে থানার নিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। এর মধ্যে যদি কোন অঘটন ঘটত তাহলে এর দায়ভার বহন করত কে? তিনি স্বামী নিগ্রহের বিচার দাবি করেছেন।তবে এলাকা বাসীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেননি। পুলিশ এলা কাবাসীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। ফলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা ঊনকোটি জেলায় তীব্র কৌতহল ছড়িয়ে পড়েছে।

0 মন্তব্যসমূহ