ত্রিপুরার গন্ডাছড়া এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সরকারের সাহায্যের দাবি করলো সিপিআইএম...
ত্রিপুরার ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমায় যে হিংসার্থক ঘটনা ঘটেছে এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে তার জন্য সরকারকেই দায়ী করলেন ত্রিপুরা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করেন রাজ্যের মানুষের মুখে হাসি নেই আনন্দ নেই, অথচ শাসক দলের নেতারা আনন্দের সাগরে বাসছেন। গন্ডাছড়া এলাকায় গত এক মাসে অনাহারে মৃত্যু শিশু বিক্রি কাজ ও খাদ্যের অভাবে মানুষ ভুগছেন। সেখানে আনন্দমেলার নামে প্রতিদিন জুয়া এবং মদের আসর বসছে, সেই সঙ্গে মারপিট ও যুবতীদের শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটছে। এই আনন্দমেলায় মারপিটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবকের মৃত্যু ঘটে। তারপরেই জাতিগত সংঘর্ষ ঘটে। রাতের আঁধারে অসংখ্য বাড়িঘর পুড়েছে দোকানপাট লুট হয়েছে, আগুনে পুড়ে গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। মানুষ প্রাণ রক্ষার তাগিদের জঙ্গলে গিয়ে আত্মগোপন করেছিল। রাত দুটো পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চলেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, দলের তরফ থেকে তিনি সাধারণ মানুষের প্রতি আহবান রাখেনএ ধরনের ঘটনা থেকে বিরত থাকতে। সকল সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি আহবান রাখেন তিনি। যুবকের মৃত্যু এবং এতগুলো বাড়িঘর পুড়ে যাওয়ার পিছনে সম্পূর্ণরূপে দায়ী সরকার বলে অভিযোগ করেন তিনি। শাসকদল বিজেপি এবং তাদের শরীক দল তিপ্রামথা এই দায় এড়াতে পারে না বলে দাবি করেন তিনি। সেই সঙ্গে সিপিআইএম দলের তরফে দাবী জানান সরকার উদ্যোগ নিয়ে শান্তি বৈঠক আয়োজন করুক। এতে উভয় সম্প্রদায় মানুষ করা হোক। যতক্ষণ না পর্যন্ত শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হোক। যে যুবকের মৃত্যু হয়েছে তার পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দিতে হবে। আর যে সমস্ত লোকের দোকানপাট বাড়িঘর গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদেরকে উপযুক্ত পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। যতদিন না পর্যন্ত মানুষ স্বাভাবিক অবস্থায় তাদের ঘরে ফিরে যেতে পারছে তাদের থাকা খাওয়া, চিকিৎসার এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। শনিবার রাজধানী আগরতলার মেলার মাঠ এলাকার সিপিআইএম দলের রাজ্য কমিটির অফিসে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই কথাগুলো করেন জিতেন্দ্র চৌধুরী।এই সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকমন্ডলের সদস্য পবিত্র কর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্যসমূহ