ধর্মনগর পৌর পরিষদের অচলাবস্থা। চেয়ারম্যান অনাস্থা ইস্যুতে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। মি ডিয়ার কাছে মুখ না খোলতে হুইপ জারি। ========================( বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য)== রাজধানী আগরতলার পর ধর্মনগরের স্থান।সারা রাজ্যের মধ্যে ধর্মনগর পৌরপরিষদ সব চেয়ে বড় পৌর পরিষদ হিসাবে বিবেচিত হয়ে আস ছে।এই বড় পৌর পরিষদে সবচেয়ে বড় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।গত একুশে জুলাই থেকে ধর্মনগর পৌর পরিষ দের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলছে। চেয়ার ম্যান আসছেন না। স্বাভাবিক কারণেই ধর্মন গর পৌর বাসীর নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। সব কিছুই ভালোভাবে চলছিল। কোনঝুট ঝামেলা ছিলনা। কেননা ধর্মনগর পৌরপরিষদ বিরোধী শূন্য। শাসক দলের সব সদস্য মিলিঝুলি কাজ কর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল।কিন্তু গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ধর্মনগর পৌরপরিষদে অশান্তি শুরু হয়ে যায়। 25 জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২১ একুশ জন কাউন্সিলর হঠাৎ করে চেয়ারম্যানের বিপক্ষে চ লে যায়।চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অতীতের একটি মাদক পাচা রের মামলা সামনে নিয়ে আ সা হয়। অভিযোগ তোলা হয় যে চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ দে সর কার মাদক পাচারের সাথে যুক্ত এবং বি ভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে যুক্ত। ২১ জন কাউন্সিলের এই অভিযোগ ধর্মনগর এর গণ্ডি পেরিয়ে আগরতলা পর্য ন্ত পৌঁছে যায়।ধর্মনগর পৌর পরিষদের এক্সটিভ অফিসার তথা মহ কুমা শাসক শ্যামজয় জমা তিয়ার সাথে ২১জন বিদ্রোহী সদস্য মিলিত হয়ে তাদের অ ভিযোগ পেশ করেন এবং চে য়ার ম্যানের কক্ষে তালা ঝুলি য়ে দেওয়া হয়।পুর পরিষদের ২৫ জন সদস্যের মধ্যে বরিষ্ঠ চারজন সদস্য আবার চেয়ার ম্যানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অ ভিযোগ সমর্থন করেননি।এই দলে রয়েছেন নবনীতাআচার্য, তপতীদাস এবং রূপালী অধি কারী। রুপালি অধিকারী আ বার উত্তর জেলার মহিলা মো র্চার জেলা সভানেত্রী।নবনীতা আচার্জী আদি বিজেপি নেত্রী বাম সরকারের আমল থেকেই ধর্মনগর পৌরপরিষদের সদ স্যা। ধানমনগরের রাজনীতি তে এরা সবাই ধর্মনগর কেন্দ্রে র বিধায়কের বিরোধী পন্থী হিসেবে পরিচিত। বিজেপি দলের আদি নেত্রী এবং কাউ ন্সিলর হওয়া সত্ত্বেও নবনীতা আচার্যের বাড়িতে বেশ কয়েক বার আক্রমণ সংঘটিত হয়। স্বাভাবিক কারণেই কাউন্সি লরদের মধ্যে বিভাজন রেখা র রহস্য কি তা কিছুটা আচ পাওয়া যাচ্ছে। কোন এক হে ভিওয়েট নেতার অঙ্গুলি হেল নেই যে ২১ জন কাউন্সিলর অনাস্থা এনেছেন তার স্পষ্ট হয়ে যায।ধর্মনগর পৌর পরি ষদের চেয়ার পারসন প্রদ্যুৎ দে সরকার বিজেপি দলের প্রদেশ কমিটির গুড বুকে রয়ে ছেন বলে জানা গেছে । অর্থাৎ পুরো পরিষদের চেয়ারম্যানের কাজকর্ম সম্পর্কে প্রদেশ কমি টি সন্তুষ্ট। ধর্মনগরের বিধায়ক ও এতদিন সন্তুষ্ট ছিলেন। এই ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে তবে কেন এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর অনেক গভীরে!হয়তো কিছু দিনের মধ্যে সা মনে আসবে। সবাই জানে কি ন্তু কেউ মুখ খুলছে না। ধর্মন গর পুর পরিষদের উদ্ভূত এই পরিস্থিতি তে প্রদেশ বিজেপি কমিটি হস্তক্ষেপ করেছে। বর্ত মানে সারা রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে। দলের শিষ্য নেতারা প্রচার নিয়ে ব্যস্ত। এই অবস্থার পরি প্রেক্ষিতে সব কাউন্সিলর দের ১২ ই আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।কাউন্সিল র এবং জেলার নেতাদের এই ইস্যুতে মিডিয়ার কাছে মুখ না খোলার জন্য হুইপ জারি করা হয়েছে। আজ এক কাউন্সিল রকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে সেই কাউন্সিলর হুইপ জারির বিষয়টি ঘুরিয়ে ফিরি য়ে স্বীকার করে নেন। ফলে কেউ মুখ খুলছেন না। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মন গর পৌর পরিষদের গভীর সংকট তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বিধায়কদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তো লাতেই কি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা আসছে এই প্রশ্নটি ধর্মনগরের বাতাসে ঘোরাফেরা করছে।
0 মন্তব্যসমূহ