প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ সাহার ভূমিকায় কৈলাশহরে ক্ষোভ। =======================( বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য)=
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা দুই দিন উত্তর ঊনকোটি জেলা সফল করলেও কৈলাশহরে পা ফে লাননি। অথচ সারা রাজ্যের মধ্যে কৈলাশহরে কংগ্রেস উ জ্জীবিত।ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই মহকুমায় বাঘে মহিষে লড়াইয়ের চিত্র ফুটে উঠেছে। কংগ্রেস কর্মীরা যখন মাটি কামড় দিয়ে লড়াই কর ছে সেখানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে কাছে না পেয়ে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী আট আগস্ট রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনু ষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শাসক দল বিজেপি সারা রাজ্যে ইতিম ধ্যেই ৭০শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্ব ন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে,এই কৈলাসহর মহকুমা সারা রা জ্যের মধ্যে নজর কাড়া লড়াই হচ্ছে। ব্যতিক্রমধর্মী লড়াই হ চ্ছে কৈলাসহর মহকুমার গৌ র নগর ব্লকে।রাজ্যের ৫৮টি ব্লকের মধ্যে ৫৭টি ব্লকে এক শো শতাংশ ভোট হচ্ছে না। একমাত্র ঊনকোটি জেলার কৈলাশহর মহকুমার গৌর নগর ব্লকে একশো শতাংশ ভোট হচ্ছে। গৌরনগর ব্লকের অধীনে এমন কোনো গ্রাম প ঞ্চায়েত নেই যেখানে শাসক দল বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া জয়ী হয়েছে। শাসক দলের ভয়ভীতি এখানে কোন কাজ করেনি। বিরোধীদল বিশেষত কংগ্রেস দল চ্যালেঞ্জ নিয়ে রাস্তায় নেমেছে । আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে গৌ র নগর ব্লকের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন ব্লকের বিডিও প্রনয় দাস। তিনি জানান গৌ র নগর ব্লকের অধীনে কুড়িটি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। পঞ্চা য়েত সমিতির আসন সংখ্যা তেরো। ব্লকে মোট ভোটার র য়েছে ৪৩০১৫জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২১৮৫১ জন এবং মহিলা ভোটার ২১১৬৪ জন। কুড়িটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে ২০৬টি আসন রয়ে ছে।২০৬ টি আসনে লড়াইয়ের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে র পক্ষ থেকে ৪৭৭টি মনোনয় ন জমা পড়ে। এরমধ্যে বিজে পি দল ২০৬ টি, সি পি.আই এম দল ৮১টি, কংগ্রেস দল ১৬১টি, ত্রিপ্রা মোথা ১০টি এবং নির্দলেরা ১৯টি আসনে লড়ছে। তেরো আসন বিশিষ্ট গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতিতে লড়াইয়ের জন্য বিভিন্ন রাজ নৈতিক দলের পক্ষ থেকে ৩৭ টি মনোনয়ন জমা পড়েছি লো। এরমধ্যে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে তেরোটি, সি.পি আই.এম দলের পক্ষ থেকে সাতটি, কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে নয়টি, ত্রিপ্রা মোথার পক্ষ থেকে চারটি এবং নির্দ লের পক্ষ থেকে চারটি মনোন য়ন জমা পড়েছিলো এবং সব গুলো মনোনয়ন বৈধতা হও যার কারনে বহুমুখী লড়াই হচ্ছে।একমাত্র গৌরনগর ব্লকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া কিংবা স্কুটিনীকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নি। সবচেয়ে আশ্চ র্যজনক ঘটনা হলো, গৌরন গর ব্লকে যেসমস্ত মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছিলো তারম ধ্যে একটি মনোনয়ন পত্রও কোন প্রার্থী প্রত্যাহার করেনি। তাছাড়া গৌরনগর ব্লকের অ ধীনে ঊনকোটি জেলা পরিস দের চারটি আসন রয়েছে। সবগুলি আসনে হাড্ডাহাডি লড়াই হচ্ছে। ভোট শান্তি পূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যেই গৌরনগর ব্লক এলাকায় পাঁচ কোম্পানি আধা সামরিক বাহ নী মজুত রাখা হয়েছে বলেও জানান বিডিও প্রনয় দাস। তা ছাড়াও শান্তি পূর্ণ ভাবে ভোট সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদের পাশাপাশি গোটা ব্লক এলাকার সাধারণ ভোটাররা সচেতন রয়েছে। গৌরনগর ব্লকের অধীনে কুড়িটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে কৈলাশহর বিধানসভার অধীনে রয়েছে ১৫ গ্রাম পঞ্চায়েত। এগুলি হল লক্ষীপুর, ইছবপুর, নূরপুর, ফুলবাড়িকান্দি, শ্রীনাথপুর, যুবরাজ নগর, টিলাবাজার, ইয়াজিখাওড়া, ধলিয়াকান্দি, লাটিয়াপুড়া, রাংগাউটি, খাওরাবিল, মাগুরুলী, ইরানি, পূর্ব ইয়াজিখাওড়া। অন্যদিকে জলাই, কাউলিকুড়া, গৌরন গর, ভগবান নগর এবং গোল ধার পুর এই পাঁচটি গ্রাম পঞ্চা য়েত ৫২-চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে। রাজ নৈতিক অভিজ্ঞ মহলের বক্ত ব্য গৌরনগরব্লকে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হচ্ছে। গৌরনগর কব্জা করতে রাজ্যের মন্ত্রিস ভার দুই মন্ত্রী একজন বিধায় ক সহ সমস্ত জেলা স্তরের হেভি ওয়েট নেতারা কৈলা শহরে সামি য়ানা টাঙ্গিয়ে বসে রয়েছেন। অন্য দিকে সিংহ বাহিনীও তীব্র গর্জনে গৌরনগর চষে বেড়াচ্ছেন। এই ব্লক হয়তো সারা রাজ্যে বিরোধীদল তথা ইন্ডিয়া জুটের মুখ রক্ষার ব্লক হতে যাচ্ছে। গত লোকসভা নির্বা চনে ষাটটি বিধানসভার মধ্যে একমাত্র কৈলাসহর বিধানসভা মুখ রক্ষা করেছিল। জিতেন্দ্র চৌধুরীর সাবরুম বিধানসভা সুদীপ রায় বর্মনের ৬ নং আগরতলা বিধান সভা হাতছাড়া হলেও একমাত্র বিশ্বজিৎ সিনহার কৈলাশহর বিধানসভায় কংগ্রেস মুখ রক্ষা করেছিল। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ও সম্ভাবনাময় ফলাফল হতে চলছে। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কৈলাশরে আসেননি। কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

0 মন্তব্যসমূহ