নিষ্কর্মা দিদিমণি বিদায়ীকার অবহেলা এবং খামখেয়ালিপনার দরুন আজ একটি পরিবার পুরোপুরি নিঃস্ব। আশ্রয় নিতে হয়েছে সরকারি পাঠাগারে ছেলেকে নিয়ে। যদিও একপ্রকার ক্ষোভ উগড়ে দেন বিদায়ীকার প্রতি সেই অসহায় পরিবারটি। ঘটনা মধুপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় মধুপুর বাজার সংলগ্ন এলাকার মৃত প্রদীপ ধরের স্ত্রী এবং ছেলে সন্তান অসহায় অবস্থায় দীর্ঘদিন যাবত একটি মাটির ঘরে বসবাস করে আসছে। যদিও পরিবারের কর্তা প্রদীপ ধর গত চোদ্দ বছর পূর্বে মারা যায়।
তারপর থেকেই সেই পরিবারটি অসহায় হয়ে যায়। এদিকে গত চার থেকে পাঁচ বছর যাবত সেই পরিবারটি পূর্বের তুলনায় আরো নিঃস্ব হয়ে পড়ে। রাজ্যে প্রথম বিজেপি সরকার আসার পর পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় মধুপুর পঞ্চায়েত কিংবা এলাকার মাতব্বরদের কাছে সেই অসহায় পরিবারটি দাবি জানিয়ে আসছিল একটি মাথা গুজার ঠাইয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই অসহায় পরিবারের দিকে ফিরে তাকানোর সময় পায়নি স্থানীয় মাতব্বরেরা। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতে দরখাস্ত জমা দেওয়ার পরেও সেই পরিবার আজ পর্যন্ত কোনো একটি ঘরের বন্দোবস্ত করে দেয়নি স্থানীয় পঞ্চায়েত। এদিকে এলাকার বিদায়িকা অন্তরা দেব সরকারকে বারবার জানানোর পর শেষ পর্যন্ত তিনি সরেজমিনে এসে সেই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল এবং বলেছিল একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দিবে। কিন্তু তার কথা যেন শুধুই কলা পাতা। আশ্বাস দেওয়ার পর আর কোন খবর রাখিনি সেই বিদায়কা নিষ্কর্মা দিদিমণি। পরবর্তী সময়ে প্রদীপ ধরের স্ত্রী সুস্মিতা ধর বিদায়ীকার কাছে পরপর কয়েক দফা গেলে ও আশ্বাসের বাণী শুনেই আসতে হয়েছিল। এদিকে শেষপর্যন্ত গত ৪-৫ দিনের প্রচন্ড বৃষ্টির ফলে সেই পরিবারের একমাত্র একটি ঘর পুরোপুরি ভেঙ্গে তছনছ হয়ে পড়ে। বর্তমানে সেই পরিবারটি অসহায় হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন এবং স্থানীয় বিধায়িকার প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন। বারবার আশ্বাসের পরেও একটি ঘর মিলেনি তাদের ভাগ্যে। এদিকে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে সেই পরিবারটি বর্তমানে মধুপুর পাঠাগারে আশ্রয় নিতে হচ্ছে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে মা। আবার কেউ কেউ বলতে শুরু করেছে তিনি বিদায়ীকা হওয়ার পর এলাকার জনগণের কোন সাফল্য আসেনি। এমনকি এলাকার রাস্তাঘাট থেকে আরম্ভ করে পানীয় জল, বিদ্যুৎ, শিক্ষা ব্যবস্থা কোন উন্নত হয়নি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় রাস্তার মাথা থেকে কসবা মন্দির পর্যন্ত যে রাস্তাটি রয়েছে তা বর্তমানে পুরোপুরি ভেঙ্গে একাকার হয়ে আছে। ঐ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল প্রায় অর্ধেকের চেয়ে অনেক কমে যায়। এমনকি বিদায়িকার বাড়ির সামনে দিয়েও পুরোপুরি রাস্তা ভেঙ্গে হাঁটু পর্যন্ত জল জমে আছে। একজন বিদায়িকা হয়ে রাস্তাঘাট কোন উন্নত করতে পারেনি তিনি এলাকার জনগনের কি পরিষেবা দিবেন তাও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে যাই হোক সেই অসহায় পরিবারটি স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং বিদায়িকার প্রতি দাবী রাখেন অন্তত একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। এখন দেখার সেই পরিবারের পাশে কেউ দাঁড়ায় কিনা।

0 মন্তব্যসমূহ