নিজের মেয়ের অপহরণকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করতে এসে এক মহিলা সাব ইন্সপেক্টর এর কাছে দুর্ব্যবহারের শিকার হয় এবং মামলা নিতে অস্বীকার করে

 নিজের মেয়ের অপহরণকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করতে এসে এক মহিলা সাব ইন্সপেক্টর এর কাছে দুর্ব্যবহারের শিকার হয় এবং মামলা নিতে অস্বীকার করে। ঘটনার সোমবার রাতে আমতলী থানায়। জানা গেছে সেকেরকোট রামঠাকুর আশ্রম সংলগ্ন এলাকার এক নাবালিকা মেয়েকে গৃহ শিক্ষকের বাড়িতে যাওয়ার পথে বিশালগড় থানার অন্তর্গত চাম্পামুড়া বাগানিয়ামুড়া এলাকার সজল ভৌমিকের ছেলে রূপক ভৌমিক প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকা মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। 


মেয়েটি বাড়িতে ফিরে না আসা তার পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে রবিবার আমতলী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। 


সোমবার দুপুরে নাবালিকা মেয়েটির পরিবার পরস্পরের মুখে জানতে পারে চাম্পামুড়ার সজল ভৌমিকের ছেলে রূপক ভৌমিক উনার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সোমবার সন্ধ্যায় আমতলী থানার মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর সুস্মিতা দেবনাথ নাবালিকা মেয়েটির পরিবারের লোকজনদের থানায় আসতে খবর পাঠায়। খবর পেয়ে মেয়েটির পরিবারের লোকজন থানায় আসতে অপহরণকারী রূপক ভৌমিক এর বিরুদ্ধে লিখিত আকারে মামলাদের করার সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে আসলেও থানায় প্রবেশ করা মাত্র আমতলী থানার মহিলা সাব ইন্সপেক্টর সুস্মিতা দেবনাথ অসংলগ্ন আচরণ করেন নাবালিকা মেয়েটির পরিবারের লোকজনদের সাথে যা একজন পুলিশ হয়ে সাধারণ মানুষের সাথে এই ধরনের আচরণ মোটেও শোভা পায় না, এতেই শেষ নয় এক মহিলা কনস্টেবল সেকেরকোট এলাকার বাসিন্দা রাধা চৌধুরী ফোন করে ওই মহিলা সাব ইন্সপেক্টর কে বলে নাবালিকা মেয়েটির পরিবারের লোকজন যেন বেঁধে রাখা হয়। নাবালিকা মেয়েটির পরিবারের লোকজন অবশেষে পুলিশের এই ধরনের আচরণ এই ধরনের আচরণের শিকার হয়ে কিছুক্ষণ পর যখন অপহরণকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য সাব ইন্সপেক্টর সুস্মিতা দেবনাথ এর কাছে মামলার আবেদনপত্র জমা দিতে যায় তখন উনি মামলা গ্রহণ করেননি বরং জিডি অফিসারকেও মামলা গ্রহণ না করতে নির্দেশ দেন। পুলিশের এই ধরনের আচরণে নিরুপায় হয়ে সোমবার রাতে নাবালিকা মেয়েটির পরিবার সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ে পুলিশের শরণাপন্ন হয় কিন্তু পুলিশ যদি সাধারণ মানুষের সাথে এমন আচরণ করে তাহলে মানুষ কার কাছে বিচার চাইতে যাবে? তাই তারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের কাছে দাবী জানিয়েছেন যে পুলিশ সাধারণ মানুষের সাথে ভালো আচরণ করতে জানেন না তাই তাদের মতো পুলিশ অফিসার কে আমতলী থানা থেকে খুব শীঘ্রই যেন অন্যত্র সরানো হয় তার পাশাপাশি অপহরণ হওয়া নাবালিকা মেয়েকে খুঁজে বের করার আরজি জানিয়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ