কৈলাশহর কুবঝার রাজধরপুর এলাকায় একটি গৃহবধূ বিষ পান করে আত্মহত্যা করা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম গোটা কৈলাশহর ঊনকোটি জেলা হাসপাতাল, মৃত গৃহবধুর নাম মারজানা আক্তার বাড়ি ফুলবাড়ীকান্দি এলাকায়। বিগত পাঁচ বছর পূর্বে মারজানা আক্তারের সাথে বিবাহ হয় কুবঝার রাজধরপুর এলাকার বাসিন্দা সাবির মিয়ার সাথে, বর্তমানে ওদের সংসারে চার বছরের একটি পুত্র সন্তান বর্তমান। মার্জানা আক্তারের মা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান বিয়ের পর থেকেই স্বামী এবং তার পরিবারের লোকেরা মিলে কারণে-অকারণে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করত মারজানা আক্তারের উপর, উক্ত বিষয় নিয়ে একাধিকবার ওই এলাকায় শালিশি সভা অনুষ্ঠিত হয়, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি বিগত কিছুদিন পূর্বে উনার মেয়ে উনার নিজ বাড়িতে চলে আসে পরবর্তী সময় সাবীর মিয়া তার স্ত্রীকে পুনরায় তার বাড়িতে নিয়ে যায়। বুধবার দুপুর বেলা সাবির মিয়ার পরিবারের লোকেরা ফোন করে মারজানা আক্তারের পরিবারের লোকেদের জানায় মারজানা আক্তার বিষ পান করেছে এবং তাকে জেলা হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়েছে মার্জানা আক্তারের মা হাসপাতালে আসার পূর্বেই উনাকে ফোন করে পুনরায় সাবির মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় মারজানা আক্তারের মৃত্যুর খবর।
অন্যদিকে সাবির মিয়ার মা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানায় ওদের সংসার ভালোই চলছিল ওদের সংসারে কোন ধরনের ঝামেলা ছিল না ওরা মার্জানা আক্তারকে নির্যাতন করেনি তবে আজ কি কারণে বিষ পান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল মারজানা আক্তার সেই বিষয়ে উনার কিছু জানা নেই পাশাপাশি উনার ঘরে তখন মারজানা আক্তার ছাড়া আর কেউ ছিলনা।
বর্তমানে মারজানা আক্তারের মৃতদেহ কৈলাশহর ঊনকোটি জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে আগামীকাল ময়না তদন্ত করার পর মারজানা আক্তারের মৃতদেহ তার পরিবারের লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হবে, উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে ছুটে যায় কৈলাশহর মহিলা থানার ওসি রিপিতা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ ও টি এস এর বাহিনী পাশাপাশি ঘটনাস্থলে ছুটে যান কৈলাশহর মহকুমা শাসক কার্যালয়ের DCM মতিরঞ্জন দেববর্মা উনারা গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন তবে যাই হোক উক্ত ঘটনা কে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে গুটা এলাকায়।


0 মন্তব্যসমূহ