বছর ঘুরতে না ঘুরতেই উঠছে পিচের আস্তরণ,ক্ষুব্ধ জনসাধারণ।

 বছর ঘুরতে না ঘুরতেই উঠছে পিচের আস্তরণ,ক্ষুব্ধ জনসাধারণ। 

। । প্রতিবেদন অনুপম পাল । । 

কৈলাসহর,ঊনকোটি ত্রিপুরা 

বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নির্মিত রাস্তার পিচের আস্তরণ উঠে যাওয়ায় শহর উত্তররাঞ্চলের লাইফ লাইন বলে পরিচিত রাস্তার বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ কৈলাসহরের শহর উত্তরাঞ্চলের জনগণ। মহকুমা শাসক অফিস সংলগ্ন পুরোনো ডাকবাংলো থেকে রাঙাউটির পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের দাবী ছিলো দীর্ঘ দিনের। জনসাধারণের দাবীকে মান্যতা দিয়ে রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় এই ৭ কিলোমিটার রাস্তা তৈরীর সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মোতাবেক সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে টেন্ডারের আহ্বান করা হলে কৈলাসহরের এই কাজের বরাদ্দ পান তৎকালীন সময়ের শাসক দলীয় এক ঠিকাদার। 


২০২১ সালে উক্ত রাস্তার কাজ শুরু হলেও কাজের শুরুতেই নিম্ন মানের রাস্তার কাজ ও ধীর গতিতে কাজ চলার অভিযোগে স্থানীয়রা কখনো টিলাবাজার,কুবঝার,ধলিয়ারকান্দী এলাকায় টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। জনসাধারণের বিক্ষোভের খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তৎ সময়ে প্রশাসনিক চাপে ২০২১ সালের মাঝামাঝি রাস্তা তৈরীর কাজ শুরু করেন এই রাষ্ট্রবাদী নেতা । ২০২১ সালের মাঝামাঝি ৭ কিলোমিটার রাস্তার জন্য প্রায় ৮ কোটি টাকার এই কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে। অভিযোগ কাজ কৈলাসহরে হলেও নির্মান সামগ্রী গরম বিটুমিন প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূর কুমারঘাট থেকে গাড়ী করে আনা হত রাস্তা তৈরীর জন্য।যার ফলে কাজের গুনমান বজায় থাকেনি।এতে কাজের একবছরের মাথায় রাস্তার উপরের বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরী হয়। আইন মোতাকেব রাস্তা তৈরীর পর আগামী পাঁচ বছর সমস্ত কিছু দেখা শোনার দায়িত্ব থাকে ঠিকাদারের উপর। কিন্তু এই ক্ষেত্রে ঠিকাদার তার কোনো দায়িত্ব পালন করছেননা বলে অভিযোগ। পিএমজিএসওয়াই কুমারঘাট সার্কেল এই কাজের তত্বাবধানে থাকলেও রাস্তার এই বেহাল দশায় তাদের কোনো উদ্যোগ নেই বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। 


প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত অবধি প্রচুর যাত্রীবাহী ছোটবড় গাড়ী,অটো ও ই-রিক্সা চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে । রাস্তার হাল বেহাল হওয়ায় প্রায় প্রতিদিন দুর্ঘনার শিকার হচ্ছেন স্কুল ছাত্রছাত্রীসহ সাধারন পথ চলতি মানুষেরা। 


শহর উত্তরাঞ্চলের জনসাধারণের শহরে আসার একমাত্র পথ এই রাস্তা। এই অবস্থা দ্রুত সংশ্লিষ্ট দপ্তর ঠিকাদারকে রাস্তা সংস্কারে ময়দানে না নামালে জন বিক্ষোভ হতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে শহর উত্তরাঞ্চলে। 


স্থানীয় ই-রিক্সা চালক কিংবা অন্যান্য যান চালকরা দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। এবার দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর কত দ্রুত ঠিকাদারকে খুঁজে বের করে রাস্তা সংস্কারে হাত দেয়। তবে অনেকেই বলছেন সুশাসন জামানায় কোনভাবেই খাঁই মিটছেনা রাষ্ট্রবাদীদের !

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ