দশ বছরের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী অপহরণ। ঘটনা শারদীয়ার দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মেলাঘর থানার অন্তর্গত নলচর এলাকায়।

 দশ বছরের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী অপহরণ। ঘটনা শারদীয়ার দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মেলাঘর থানার অন্তর্গত নলচর এলাকায়। 

জানা গেছে নলচর এলাকার পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া ১০ বছরের এক নাবালিকা মেয়েকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় নলচর বড়মুড়া ওএনজিসি এলাকার সুজিত দেব নামে এক যুবক। নাবালিকা মেয়েটির পরিবার জানিয়েছে দশমীর দিন নাবালিকা মেয়েটিকে সুজিত দেব নামে ওই যুবকটি অপহরণ করে নিয়ে যায় কিন্তু সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেও নাবালিকা মেয়েটিকে খুঁজে না পেয়ে মেয়েটির পরিবারের লোকজন মেলাঘর থানায় লিখিত আকারে একটি অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু আজ এতদিন হয়ে গেলেও পুলিশ অপহরণকারী সুজিত দেবকে গ্রেফতার সহ নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে পারেনি। শুক্রবার নাবালিকা মেয়েটির বাবা আবারো মেলাঘর থানায় এসে পুলিশের সাথে কথা বলেন যেন খুব শীঘ্রই ওনার একমাত্র নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা করে। যদিও মেলাঘর থানার পুলিশ নাবালিকা মেয়েটির পরিবারকে আরো চার দিনের সময় বেঁধে দেন অর্থাৎ চার দিনের মধ্যে নাকি নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা করবে পুলিশ। জানা গেছে অপহরণকারী সুজিত দেব কাজের উদ্দেশ্যে রাজ্যের বাইরে ছিল। রাজ্যে ফিরে এসেই নাবালিকা মেয়েটিকে অপহরণ করার সুযোগ খুঁজতে থাকে সুজিত দেব। অবশেষে শারদীয়া দূর্গা পূজার দশমীর দিনে সুযোগ বুঝে ওই নাবালিকা মেয়েটিকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এখনো পর্যন্ত অপহরণকারী সুজিত দেব সহ নাবালিকা মেয়েটির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এই ঘটনার পর থেকে নাবালিকা মেয়েটির পরিবার মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। এদিকে এই ঘটনার পর থেকে নলচর এর সাধারণ মানুষ অভিযুক্ত অপহরণকারী সুজিত দেবের কঠোর শাস্তির দাবি তুলছে। যেহেতু মেলাঘর থানার পুলিশ এতদিন হয়ে গেলেও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার সহ নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে পারছে না তাই পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে নড়চড় এলাকায়। শূন্য থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী নাবালক নাবালিকাদের সুরক্ষা প্রদান করে থাকেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশন সহ চাইল্ড লাইনের কর্মীরা। সংবাদ প্রকাশের পর রাজ্য শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশন সহ সিপাহীজলা জেলার  চাইল্ড লাইনের কর্মীরা এই ঘটনায় কতটুকু সক্রিয় ভূমিকা পালন করে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ