পলাতক নেশা কারবারীর মাস্টারমাইন্ড মনিশ সিনহার নেশা ব্যবসার কাজে যুক্ত বিলাসবহুল দামি থার গাড়ি উদ্ধার করল পুলিশ

 পলাতক নেশা কারবারীর মাস্টারমাইন্ড মনিশ সিনহার নেশা ব্যবসার কাজে যুক্ত বিলাসবহুল দামি থার গাড়ি উদ্ধার করল পুলিশ। 

জানা গেছে বিশালগড় থানার অন্তর্গত পূর্ব চাম্পামুড়া এলাকার মনির সিনহা নেশা কারবারীর মূল মাস্টারমাইন্ড, তার বিরুদ্ধে ত্রিপুরা রাজ্যের সহ আসামের বেশ কয়েকটি থানায় মাধব বিরোধী আইনে মামলা রয়েছে, যে মামলার ভয়ে মনির সিনহা দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন থানার পুলিশ মনিশ সিনহাকে সহ তার নেশা ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত থার গাড়িটিকে খুজছিল কিন্তু কোথাও নেশা কারবারি মনিশ সিনহা সহ তার গাড়িটির খোঁজ পাচ্ছিল না। অবশেষে অমরপুর এলাকার এক নিখোঁজ নাবালিকা মেয়ের সন্ধানে আমতলী থানার পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে মধুবন ঝরঝরিয়া বিশ্বমাতা ক্লাব সংলগ্ন মৃত দুলাল সরকারের ছেলে বিজয় সরকারের বাড়িতে আসে তবে সেখানে পুলিশ নাবালিকা মেয়েটির খোঁজ পায়নি কিন্তু বিজয় সরকারের বাড়ির উঠানে পুলিশ নেশা কারবারি মনিশ সিনহার নেশাপাচারের কাজে ব্যবহৃত তার গাড়িটিকে দেখতে পায়, যে গাড়িটিকে পুলিশ বিভিন্ন থানার পুলিশ এতদিন ধরে খুঁজছিল মঙ্গলবার সেই গাড়িটি স্বর্গীয় দুলাল সরকারের ছেলে বিজয় সরকারের বাড়ির উঠানে পেয়ে যায় আমতলী থানার পুলিশ। শুধু তাই নয় বিজয় সরকারের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে আসামের দুইটি নকল নাম্বার প্লেটও উদ্ধার করে পুলিশ। তখনই পুলিশের সন্দেহ বাড়ে স্বর্গীয় দুলাল সরকারের ছেলে বিজয় সরকারও এই নেশা ব্যবসার সাথে জড়িত কেননা তার ঘর থেকে নকল দুইটি আসামের নাম্বার প্লেট উদ্ধার হয়েছে। অমরপুর থেকে অন্যদিকে নাবালিকা নিখোঁজের ঘটনায় বিজয় সরকারের ছোট ভাই পাপাই সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে আমতলী থানার পুলিশ বিজয় সরকারের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা নকল নাম্বার যুক্ত থার গাড়িটিকে টেনে আমতলী থানায় নিয়ে যায়। তবে রাস্তায় সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে তদন্তের স্বার্থে বেশি কিছু মুখ খোলেনি। এলাকার সূত্রে জানা গেছে দুলাল সরকারের ছেলে বিজয় সরকারের বাড়িতে নেশা কারবারি মনিশ সিনহার গাড়ি রয়েছে তা আগে কেউ জানতেন না তবে পুলিশের গাড়ি দিয়ে ওই গাড়িটিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার কারণে আর জানার অপেক্ষায় রাখেনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ