সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক ৩৫টি গরু, রইস্যাবাড়ি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লুর রইস্যাবাড়ি সফর শেষ হওয়ার পরপরই আবারও প্রকাশ্যে এলো ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় গরু পাচারের রমরমা ব্যবসা। সোমবার সন্ধ্যায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) তৎপরতায় বাংলাদেশে পাচারের পথে থাকা প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের ৩৫টি গরু উদ্ধার হয়েছে। যদিও এই সফল অভিযানেও একজনও পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি বিএসএফ জওয়ানরা, যা স্থানীয়ভাবে রইস্যাবাড়ি থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলেছে।
সোমবার সন্ধ্যা প্রায় ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে রইস্যাবাড়ি এলাকার করিনা বর্ডার আউট পোস্ট (বিওপি)-এর অধীনস্থ অঞ্চলে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিএসএফ-এর ১৫৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা সীমান্ত এলাকায় নিবিড় পাহারায় ছিলেন। পাহারার সময়ই তাঁরা কিছু সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেন।
জানা যায়, অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পাচারকারীরা একটি বড় দল গরু নিয়ে দ্রুত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিল। বিএসএফ জওয়ানরা দ্রুত ও সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে গরুগুলিকে আটক করতে সক্ষম হন। উদ্ধার হওয়া গরুগুলির বাজার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকারও অধিক বলে অনুমান করা হচ্ছে। পাচারকারীরা অধরা, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
বিএসএফ এই বিপুল পরিমাণ গবাদি পশু উদ্ধার করলেও, পাচারকারী চক্রের কোনো সদস্যকে আটক করতে পারেনি। ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানরা উদ্ধার হওয়া গরুগুলিকে রইস্যাবাড়ি থানার হাতে তুলে দেন।
ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটলো যখন রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লু সম্প্রতি রইস্যাবাড়ি এলাকায় তাঁর সফর শেষ করেছেন। স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলছেন, সীমান্তের এত কাছে এই বিপুল পরিমাণ গরুর পাচার যখন ঘটছে, তখন রইস্যাবাড়ি থানার পুলিশ কেন আগে থেকে কোনো ব্যবস্থা নিল না? সীমান্ত এলাকায় পুলিশের টহলদারি এবং নজরদারির অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা।
বিএসএফ যদিও তাদের কর্তব্য সুচারুভাবে পালন করেছে, তবুও পাচারকারীদের ধরতে না পারার ব্যর্থতা এবং রইস্যাবাড়ি এলাকায় পাচার চক্রের বারবার সক্রিয়তা রাজ্য পুলিশের কার্যকারিতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল। পুলিশ এই চক্রের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়, এখন সেটাই দেখার।

0 মন্তব্যসমূহ