মানিক-বিপ্লব- প্রদ্যুতের ত্রিফ লায় পূর্বে ইন্ডিয়া বিধ্বস্ত।সরব প্রচারের শেষ লগ্নে এগিয়ে ত্রি পল ইঞ্জিন জোট।

মানিক-বিপ্লব- প্রদ্যুতের ত্রিফ লায় পূর্বে ইন্ডিয়া বিধ্বস্ত।সরব প্রচারের শেষ লগ্নে এগিয়ে ত্রি পল ইঞ্জিন জোট।

 =====(((বৈদ্যনাথ ভট্টাচাৰ্য))=====

মানিক,বিপ্লব, প্রদ্যুতের ত্রিফ লায় পূর্বে ইন্ডিয়া জোট প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে।আজ পূ র্ব ত্রিপুরা উপজাতি সংরক্ষিত আসনের সরব প্রচার সমাপ্ত হয়েছে।পূর্ব ত্রিপুরা আসনের বেশ কয়েক জন ভোটারের অভিমত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ভোটাদের অভিমত ত্রিপল ইঞ্জিন জোট প্রচারে অনেক এগিয়ে রয়ে ছে।গত ১৯ শে এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের নির্বাচন স মাপ্ত হওয়ার পর ত্রিপল ইঞ্জি ন জোটের সবশীর্ষ নেতারাই পূর্ব ত্রিপুরা আসনের বিভিন্ন বিধানসভা গুলিতে এসে ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছিলেন।ডক্টর মানিকসাহা বিপ্লবকুমার দেব প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মা শুক্লাচ রণ চরণ নোয়াতিয়ারাদের ম ত নেতারা পূর্ব ত্রিপুরা আসনে র সাবরুম থেকে কাঞ্চনপুর পর্যন্ত চরকির মত ঘুরপাক খে য়েছেন।শুধুমাত্র জনসভা নয়, বাড়ি বাড়ি প্রচারে অংশ নিয়ে ছেন,রোডশো করেছেন।সড়ক প্রচারের অন্তিমলগ্ন পর্যন্ত নি র্বাচনী ময়দান ছেড়ে চলে যান নি। মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সা হা আজ কুমারগাটে বিরাট এ ক রোড শোর মাধ্যমে সরব প্রচারের কাজ সমাপ্ত করেন। ত্রিপল ইঞ্জিন জোটের নেতারা নির্বাচনী প্রচারের সময়ে বাম দুর্গ গুলিতে হানার দিয়ে হেভি ওয়েট নেতাদের নিজেদের ঘ রে তুলে নিয়েছেন। এই দিক থেকে ইন্ডিয়া জোট অনেক পিছিয়ে ছিল।জিতেন, সুদীপ জুটি শেষ সময় পর্যন্ত খেলে গিয়েছেন। বিরজিত, মানিক একই মঞ্চে ভাষণ দিয়েছেন। মাঝ পথে ম্যাচ ছেড়ে দিয়ে চলে যাননি। কিন্তু শেষ নব্বই মিনিটে দম ছিল না।প্রচারের দিক থেকে ত্রিপল ইঞ্জিন জো ট অনেক এগিয়ে ছিল বলে ভোটারদের অভিমত।বড় কো ন অঘটন না ঘটলে পিতা কি রীট বিক্রম, মাতা বিভূ দেবীর পাশে কন্যা কৃতি সিং সাংসদ হিসাবে নাম যুক্ত করতে চল ছেন বলে রাজনৈতিক বিশে ষজ্ঞদের অভিমত।অথচ প্রথম দিকে অন্য চিত্র ছিল। ত্রিপল ইঞ্জিন জোটের প্রার্থী নিয়ে দ্বৈ রথ থাকার কারণে প্রথমদিকে ইন্ডিয়া জোটের কাছে জয় অ নেকটাই নাগালের মধ্যে ছিল কিন্তু প্রচারের শেষ মুহূর্তে এ সে এই ধরনের অভিমত শোনা যাচ্ছে না।পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ইন্ডিয়া জোটের জয়ের নৌকা তীরে এসে তরীতে ডোবার আ শঙ্কা করা হচ্ছে। নির্বাচনী ম্যা চের ফাস্ট হাফে শাসক দল অনেকটা পিছিয়ে ছিল। ইন্ডি য়া জোট এগিয়ে ছিল।মূলত ভোটের সেনাপতি নির্বাচন নি য়ে শাসক দল পিছি য়ে ছিল।প্রার্থী মাথা দলের প্রতীক বি জেপি দলের পদ্মফু ল।প্রার্থী নিয়ে উপর মহলের সেটিং দ লের প্রথম সারির নেতারাই সহজে মেনে নিতে পা রেননি।প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি রন জয় কুমার দেব থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রাক্তন প্রভারী সুনীল দেওধর এর কন্ঠে ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছিল।বর্তমানে বঞ্চিত সাংসদ রেবতি ত্রিপুরা র বক্তব্য ও বহুল প্রচাররিত হয়েছে। কিন্তূ শেষ মুহূর্তে আ সরে নেমে বিপ্লব,মানিক শুক্লা প্রদ্যুৎ কিশোররা দলিয় অস ন্তোষ অনেকটাই প্রশমিত করতে সক্ষম হয়েছেন।অন্য দিকে আসরে নেমে ইন্ডিয়া জোট তেমনভাবে কাজে লা গাতে সক্ষম হয়নি।তাছাড়া ইন্ডিয়া জুটের দুটি দলে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে যে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল লোকসভা নির্বাচনের সরব প্রচার পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।হতাশা থেকে বেশ কয়ে ক হাজার নেতাকর্মী দল ত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরের শামিয়া নার নিচে আশ্রয় নিয়েছে।ই ন্ডিয়া জোটের প্রচারে ছাত্র যুবক এবং মহিলাদের উপস্থি তি তেমন ভাবে পরিলক্ষিত হয়নি। যুবকরা দল থেকে মুখ ফিরিয়ে রয়েছে।সমন্বয় এবং সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে শাসক দলের ব্যর্থতা কে কা জে লাগাতে সক্ষম হয়নি ইন্ডি য়া জুটের নেতারা। নির্বাচনী প্রচারে নেমে কৃতি সিং দেবব র্মা প্রথমে খেই ধরতে না পার লে ও শেষমুহূর্তে ছন্দে ফিরতে দেখা গেছে।পদ্মের প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মা।পূর্ব ত্রিপুরা আস নের প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মা সাব্রুম থেকে কুর্তি কদমতলা সভা করেচ্ছেন।সাধারণ জন সাধার সাথে অবাধ মিলামিশা করেছেন। ত্রিশ টি বিধানসভা নিয়ে পূর্ব ত্রিপুরা আসন।এর মধ্যে তেরো টি উপজাতি সংর ক্ষিত,তিনটি তপঃশীল সংরক্ষ ত।সংরক্ষিত সবকয়টি আসন বিজেপি এবং মোথা দলের দখলে রয়েছে। ত্রিশটি বিধান সভার মধ্যে মাত্র ছয়টি সিপি এম এবং কংগ্রেস জোটের দেখলে।বাকি কেন্দ্রগুলি মো থা,বিজেপি এবং আই পি এফ টির দখলে। ১৯৫২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যারা সাংসদ হয়ে ছেন এরমধ্য দশরথ দেববর্মা বাজুবন রিয়াং, কিরীটি বিক্রম জিতেন চৌধুরী বিভু কুমারী দেবী,রেবতি ত্রিপুরা রয়েছেন।পিতা মাতা সাংসদ হয়েছেন এবার কি কন্যা কৃতি সিং পরি বারের তিননম্বর সদস্য হিসা বে সাংসদের খাতায় নাম লি খাতে পারবেন?এই প্রশ্ন উঠে ছে।গত ভোটের পরিসংখ্যানে কিন্তূ পূর্বত্রিপুরা আসন শাসক দলের দিকে ঝুকে রয়েছে।বি জেপি প্রার্থী রেবতি ত্রিপুরা ভোট পান ৪,৮২১২৬,কংগ্রেস প্রার্থী প্রগ্রাদেববর্মা পান ২,৭৭ ৮ ৩৬ ভোট সিপিএম প্রার্থী জিতেনচৌধুরী পান ২,০০৯৬৩ ভোট,আইপি এফ টির নগেন্দ্র দেববর্মা পান ৪৩,৩০৪ ভোট। বিজেপি প্রার্থী রেবতি ত্রিপুরা ২,০৪,২৯০ ভো টের ব্যবধানে জয়ী হন।এবার বিজেপিমোথা আইপি এফ টি এই তিন দলে র টিপল ইঞ্জিন জোট না কং গ্রেস সিপিএমের ইন্ডিয়া জোট জয়ী হবে তার জন্য গণদেব তাদের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ