ধর্মনগর ২ এপ্রিল।
জমির সীমানায় বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই সৎ ভাইয়ের মধ্যে মারপিট।দায়ের কোপে রক্তাক্ত ছোট ভাইয়ের বৌ সহ ছোট ভাই ও তার তিন সন্তান। রক্তাক্ত বড় ভাইও। ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর থানাধীন ঢুপিরবন্ধে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়,ঢুপিরবন্ধ গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছাঁদ উদ্দিন (পিতা মানিক মিয়া) প্রায় চার বছর পূর্বে বাড়ির পাশে দশ শতক জায়গা ক্রয় করে। তারপর সেখানে একটি আগর গাছের বাগান লাগায়। কিন্তু তার আগর বাগানের পাশের জমির মালিক তার সৎ বড় ভাই ছমস উদ্দিন তার জায়গার উপর অযথা বেড়া দিয়ে দখল নিতে চায় বলে অভিযোগ। এমর্মে পঞ্চায়েতের তরফে অনেক সালিশি সভার মাধ্যমে মিটমাট করতে চাইলেও সমস্যা নিস্পত্তি হয়নি। এদিকে সোমবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে বারোটা নাগাদ সৎ বড় ভাই ছমস ছোট ভাইয়ের আগর বাগানের উপর জোরজবরদস্তি বাঁশের বেড়া দিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তখন ছোট ভাই বাঁধা দিলে তার উপর দা নিয়ে তেড়ে আসে বড় ভাইয়ের স্ত্রী সহ বড় ভাই ও তার পরিবারের লোকজন। তখন সে প্রানে বাঁচতে চিৎকার চেঁচামেচি করলে ছুটে আসে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তানরা। আর কিছু বুঝে উঠার আগেই বড় ভাইয়ের স্ত্রী দেওরের মাথায় দা দিয়ে কোপ বসালে স্বামীকে বাঁচাতে এসে স্ত্রী মিনা বেগমের মাথায় কোপ বসে। এমনকি ছোট ভাই ও তার তিন সন্তান আয়েশা বেগম (১৮),ৎজাকির আহমেদ (১৫) এবং বারিউল আহমেদ (১১) কে লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে দুপক্ষের ধস্তাধস্তিতে দায়ের কোপে আহত হয় বড় ভাইও। পরবর্তীতে ধর্মনগর দমকল অফিসে খবর গেলে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে আহত ছোট ভাই,তার স্ত্রী ও তিন সন্তানকে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের চিকিৎসা শুরু করেন। তবে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর আঘাত গুরুতর হওয়ায় বর্তমানে জেলা হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। অপরদিকে বড় ভাই ছমস উদ্দিনের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।সাথে এদিন সন্ধ্যায় ছোট ভাই ছাদ উদ্দিন ধর্মনগর থানায় সৎ বড় ভাই ছমস উদ্দিন,বাবা মানিক মিয়া,বোন জামাতা ফয়জুল হক ও বৌদি লীলা বেগমের নামে লিখিত মামলা রুজু করে। আহতরা জানায়,তাদের উপর আক্রমনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেন প্রদান করা হয়। তাছাড়া তাদের গলা থেকে তিনটি রুপোর চেইন, মোবাইল ইত্যাদি আক্রমণকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এখন দেখার বিষয় পুলিশি তদন্তে কি বেরিয়ে আসে।
0 মন্তব্যসমূহ