পাতাল কন্যার পাতালের বিষ উত্তোলনে রাজ্যে উথাল পাতা ল অবস্থা।

 পাতাল কন্যার পাতালের বিষ উত্তোলনে রাজ্যে উথাল পাতা ল অবস্থা। পাতাল কন্যা কি টি পিএফ উজ্জীবনের পথে অগ্র সর হচ্ছে ?


 =======================( বৈদ্য নাথ ভট্টাচার্য )==

 পাতাল কন্যার পাতাল থেকে বিষ বিস্ফোরণে গোটা রাজ্যে উথাল পাতাল অবস্থা।এই বি স্ফোরণের পর প্রশ্ন উঠেছে তা হলে কি পাতাল কন্যা তার পু রানো দল টি পিএফকে পুনঃ জীবিত করার পরিকল্পনা নি য়ে অগ্রসর হচ্ছে?এই প্রশ্ন টি আজ গোটা রাজ্যে মানুষের মুখে মুখে বেশ সক্রিয় ভাবে উচ্চারিত হচ্ছে।রাজ্য রাজনী তির গতি প্রকৃতি ক্রমশ সেই দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে রাজ নৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত এই ঘটনার পর অনেকেই বলা বলি করছেন যে বিজেপি দলে পাতালকন্যা জমাতিযার আয়ু আর বেশি নেই।বিজেপি দল থেকে বিদায় আসন্ন। কেননা এই ঘটনার পর শাসক দলের মধ্যে ঘরে বাইরে অসন্তোষ শুরু হয়েছে।পাতালকে দলে রাখলেও খারাপ আবার বের করে দিলেও খারাপ। পাতাল কন্যা যে এই ভাবে মারমুখি রূপ ধারণ করতে পারে তা দলের তাবড় তাবড় নেতারা একদম আগাম বুঝতে পারেন নি। বুধবার সাংবাদিক সম্মে লন করে বিজেপি দলের শরি ক তথা ত্রিপ্রা মোথা সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মার যে ভাষা প্রয়োগ করে আক্রমণ করেছেন তা ছিল কল্পনার বাইরে।প্রদ্যুৎকে ঠগ,ধান্দা বাজ, দালাল, বিভেদের রাজ নীতির ফেরিওয়ালা সহ বিভি ন্ন বিশেষণে অলঙ্কৃত করেছে ন।একই দল এবং একই জো টে থেকে জোট নেতাকে সাং বাদিক সম্মেলন করে আক্র মণ করার ঘটনা রাজ্য রাজনী তিতে ইতিপূর্বে কোন রেকর্ড নেই। পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা নির্বাচনের মাত্র ২৪ ঘন্টা পূর্বে দলের প্রদেশ সহ সভানেত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে এই সাংবাদিক সম্মেলন স্পষ্টভা বে দল বিরোধী কাজ। দলের প্রবক্তা সুব্রত ভট্টাচার্য পাতাল কন্যার সাংবাদিক সম্মেলনকে দল এবং সংগঠন বিরোধী ব লে আখ্যায়িত করেছেন।শো কজ করার কথা জানিয়েছে ন।সর্ব শেষ প্রাপ্ত সংবাদে জা না গেছে ভোটের মুখে এই দল বি রোধী কাজের জন্য পাতা ল কন্যাকে দল এবং কর্পোরে শনের চেয়ারম্যান উভয় পদ থেকে বহিষ্কার করার পথে হা টছে দল।।ভোটের মুখে এই সাংবাদিক সম্মেলন প্রদ্যুৎকে নয় বরং দলকেই পরাজয়ের খাদের কিনারায় টেনে আনা হয়েছে বলে অভিমত পাওয়া গেছে।পূর্ব ত্রিপুরা আসন নি য়ে শাসক দলের এমনিতেই চিন্তিত শেষ নেই।বিভিন্ন কার নে চাপে রয়েছে। কোনভাবেই জয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পা রছে না শাসক দল।যার জন্য নির্বাচনী প্রচারের সময় দেখা গেছে দলের সমস্ত হেভি ওয়ে ট নেতারা পূর্ব ত্রিপুরার বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছিলেন।সরব প্রচারের সময়ে পাতাল কন্যা নীরব ছিলেন। কিন্তু নীরব প্র চারের সময় মাতাল কন্যা সর ব হয়ে উঠলেন। সাংবাদিক সম্মেলন করে দলকে বিপাকে ফেলে দিলেন।শাসক দলের একটি অংশ এতে এতে গভীর চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে।পাতাল কন্যা সাংবাদিক সম্মেলন ক রে প্রদ্যুতের বিরুদ্ধে বিস্ফোর ণ ঘটানোর পর শাসক দলের পূর্ব ত্রিপুরার সাজানো বাগান ছারখার হয়ে যাওয়ার উপক্র ম।ত্রিরিশটি বিধানসভা নিয়ে পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসন। এর মধ্যে উপজাতি সংরক্ষিত বিধানসভাহল তেরোটি।বিধান সভা গুলি হল রামচন্দ্রঘাট, প্রমোদনগর,আশারাম বাড়ি জুলাই বাড়ি,মনু, অম্পিনগর রাইমাভ্যালি, সালেমা,কুলাই, পেচাথল কাঞ্চনপুর। এই ১৩ টি বিধানসভায় পাতাল কন্যা জমাতিয়ার ব্যাপক প্রভাব র য়েছে।পূর্ব ত্রিপুরা আসনে মো ট ভোটার ১৩ লক্ষ ৯৬, ৭৬১। এরমধ্যে প্রায় সাড়ে নয় লক্ষ জনজাতিভোটার। জনজাতি ভোটারদের মধ্যে পাতালকন্যা জমাতিয়ার জনপ্রিয়তা রয়ে ছে। জনজাতিদের কাছে পা তাল কন্যা একটি পরিচিত মুখ।বিদ্রোহী পাতাল কন্যার বিস্ফোরণ এই বিশাল জনজা তি ভোট ব্যাংকে প্রভাব ফেল তে পারে বলে রাজনৈতিক বি শ্লেষক দের অভিমত। রাজনৈ তিক বিশ্লেষকদের আরো অ ভিমত পাতাল কন্যাকে দলবহিস্কার করা ছাড়া দলে অন্য কোন বিকল্প পথ খোলা নেই। অন্য দিকে পাতাল কন্যা বহিস্কৃত হলে তিনি তার পুরা নো দল ত্রিপুরা পিপুলস ফন্ট কে পুনর্জীবিত করার পথে হাঁটতে পারেন বলে পূর্বাভাস পাওয়া গেছে।কেন এই সংগ ঠনের মাধ্যমেই জন জাতিদের অধিকার লড়াই আন্দোলন ক রে পাতাল কন্যা জমাতিয়া একজন সাধারণ উপজাতি রমণী থেকে সর্বভারতীয় নারী নেত্রী হয়ে উঠেছিলেন। গতি প্রকৃতি কি সেই দিকে ইউ টান নিচ্ছে?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ