উত্তরে সিংহের গর্জন,দক্ষিণে জিতেনের জয় ধরে রাখা কি সম্ভব?

 উত্তরে সিংহের গর্জন,দক্ষিণে জিতেনের জয় ধরে রাখা কি সম্ভব? 

=====((বৈদ্যনাথ ভট্টাচাৰ্য))===

উত্তরে সিংহের গর্জন বা দক্ষি ণে জিতেনের জয়ের দক্ষিনি হাওয়া ধরে রাখা কি সম্ভব হ বে?এই প্রশ্নটি এখন উত্তর থে কে দক্ষিনে ঘুরপাক খাচ্ছে। পূর্বত্রিপুরা উপজাতিসংরক্ষিত আসনে কোন দল জয়ী হবে? গেরুয়া বাহিনী না ইন্ডিয়া জো ট এই প্রশ্নের থেকে বড় প্রশ্ন বা তাসে ঘুরছে যে উত্তরের কৈলা সহর বিধানসভা সভা কেন্দ্রে বিরজিৎ সিনহা বা দক্ষিণের সাবরুম বিধানসভা কেন্দ্রে জি তেনচৌধুরী কি নিজেদের জয় ধরে রাখতে সক্ষম হবে?এই দু টি বিধানসভা পূর্বত্রিপুরা উপ জাতি সংরক্ষিত লোকসভাআ সনের অন্তর্ভুক্ত বিধানসভা। সাবরুম থেকে কৈলাশহর প র্যন্ত মোট ৩০ টি বিধানসভা নিয়ে পূর্ব ত্রিপুরা উপজাতি সংরক্ষিত লোকসভা কেন্দ্র। এই লোকসভা কেন্দ্র ১২ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৬১ জন ভোটার রয়েছে। এবার ভোট দিয়েছেন ১০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৪ ১৩ জন ভোটার।৮২.৮৪৭শতাংশ ভোট দান রেকর্ড হয়েছে।সারাহিন্দু স্তানের মধ্যে ভোটদানের নিরি খে পূর্বত্রিপুরা আসন শীর্ষস্থান লাভ করেছে। অর্থাৎ সর্বাধিক ভোট পড়েছে।পূর্বত্রিপুরার ৩০ টি বিধানসভার মধ্যে ২৪টি বি ধানসভা বর্তমানে ত্রিপল ইঞ্জি ন জোট তথা বিজেপি, ত্রিপুরা মোতা এবং আইপিএফটি দ লের দখলে।কংগ্রেস সিপিএম তথা ইন্ডিয়া জোটের দখলে র য়েছে মাত্র ছটি বিধানসভা।এই বিধানসভা গুলি হল সাব রুম,ঋষ্যমুখ, কুর্তি কদমতলা, যুবরাজনগর এবং কৈলাসহর বিধান সভা।এবার পূর্ব ত্রিপুরা উপজাতি সংরক্ষি ত আসনে মোট দশজন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়ে ছে।তবে মূল লড়াই হচ্ছে দ্বি মুখি।বিজেপি পরিচালিত ত্রি পল ইঞ্জিন জোটের প্রার্থীকৃতি সিং দেববর্মা এবং কংগ্রেস সিপিএম পরিচালিত ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী প্রাক্তন বিধায় ক রাজেন্দ্র রিয়াংয়ের মধ্যে। এই দুইপ্রতিদ্বন্দীর মধ্যে লড়াই সীমাবদ্ধ থাকবে এতে কোন সন্দেহ নেই।২০২৩ সালের বি ধা নসভা নি র্বা চনে সিপিএম কংগ্রেস যে ছয়টি আসনে জ য়ী হয়েছিল সেই আসন গুলি কি এবারের লোকসভা নির্বাচ নে বামগ্রেস বিজয় ধরে রাখ তে সক্ষম হবে? খোয়াই বিধান সভায় সিপিএম প্রার্থী ১০৪০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে ছিলেন। সেইরূপ চল্লিশ ঋষ্য মুখ বিধানসভায় ব্যবধান ছিল ১৪১৮ ভোট। যুবরাজনগরে ব্যবধান ছিল ২৯৬ ভোট।কুর্তি কদমতলায় ব্যবধান ছিল ১৮ ৯২ ভোট। সাব্রুম বিধানসভায় ব্যবধান ছিল ৩৯৬ ভোট,এবং কৈলাশহর বিধানসভায় সর্বা ধিক ব্যবধান ছিল ৯৬৮৬ হা হাজার ভোট।এই কেন্দ্রে সিং হের গর্জনে বিজেপির জোট ধরাশায়ী হয়েছিল। সিপিএম দল থেকে প্রাক্তন বিধায়ক ম ফরস্বর আলীকে বিশেষ বিমা নের দিল্লিতে উড়িয়ে এনে দল বদল ঘটিয়ে নির্বাচনী ময়দা নে গেরুয়া প্রতীক দিয়ে নামা নো সত্ত্বেও সিংহের গর্জন থা মানো সম্ভব হয় নি।বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দল যা সম্ভব করে দেখতে পারেনি লোকস ভা নির্বাচনে কি তা সম্ভব করে দেখতে পারবে? পূর্ব ত্রি পুরা সংসদীয় লোকসভা আসনে ইন্ডিয়া জোটের ছয় জন বিধা য়কের মধ্যে দুজন হেভি ওয়ে ট বিধায়ক রয়েছেন।এর মধ্যে এক জন হলেন ইন্ডিয়া জোটে র কংগ্রেসদলের বিরজিৎসিং। তিনি প্রাক্তন বিধায়ক এবং ম ন্ত্রী।ছিলেন সর্ব ভারতীয় কং গ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদ ক।অপর জন হলেন প্রাক্তন ম ন্ত্রী এবংদুইবারের বিধায়ক সি পিএম দলের জিতেন চৌধুরী।তিনি একবার পূর্বত্রিপুরা উপ জাতিসংরক্ষিত আসন থেকে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলে ন।বর্তমানে বিরোধী দলের নে তা এবং সিপিএম দলের রাজ্য কমিটি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি বিরোধী জোটের সুপার পাওয়ার নেতা। পূর্ব ত্রিপুরা আসনে কৃতি সিং বা রাজেন্দ্রর ভাগ্য নির্ণয়ের পাশা পাশি বিরজিৎ এবং জিতেন্দ্রর ভবিষ্যৎ রাজনীতির দিক ও অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলের বক্তব্য। এদিকে পূর্ব ত্রিপুরা আসন কোন জোটের দখলে যাচ্ছে এই নিয়ে হিসাব নিকাশ চলছে।বিভিন্ন আলাপ আলোচনা থেকে যে চিত্র উঠে এসেছে তাতে দেখা গেছে পূর্ব ত্রিপুরা আসনও ত্রিপল ইঞ্জিন জোটের দিকে ঝুকে রয়েছে। ত্রিপল ইঞ্জিন জোটের প্রার্থী নিয়ে দ্বৈ রথ থাকার কারণে প্রথমদিকে ইন্ডিয়া জোট সহ জেই জয়ী হবে বলে এক অং শের অভিমত ছিল।কিন্তু এখন আর এই ধরনের অভিমত শোনা যাচ্ছে না।পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে ছিল এবং শাসক জোট অনেকটা পিছিয়ে ছিল। কিন্তূ শেষ মুহূর্তে ত্রিপল ইঞ্জিন জোটের বিপ্লব,মানিক শুক্লা প্রদ্যুৎ কিশোররা প্রচারে নেমে ইন্ডিয়া জোটকে বিভিন্ন দিক থেকে আক্রমণ করে সম্পূর্ণ রূপে বিধ্বস্ত করে ফেলে।অন্য দিকে আসরে নেমে ইন্ডিয়া জোট শাসক জোট কে জুত সই আক্রমন করতে পারেনি।পরি সংখ্যান দিক থেকে ত্রিপল ইঞ্জিন জোট কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। ত্রিশ টি বিধানসভা নিয়ে পূর্ব ত্রিপুরা আসন।এর মধ্যে তেরো টি উপজাতি সংর ক্ষিত,তিনটি তপঃশীল সংরক্ষ ত।সংরক্ষিত সবকয়টি আসন বিজেপি এবং মোথা দলের দখলে রয়েছে। পরিসংখ্যানে কিন্তূ পূর্বত্রিপুরা আসন শাসক দলের দিকে ঝুকে রয়েছে।বি জেপি প্রার্থী রেবতি ত্রিপুরা ভোট পান ৪,৮২১২৬,কংগ্রেস প্রার্থী প্রগ্রাদেববর্মা পান ২,৭৭ ৮ ৩৬ ভোট সিপিএম প্রার্থী জিতেনচৌধুরী পান ২,০০৯৬৩ ভোট,আইপি এফ টির নগেন্দ্র দেববর্মা পান ৪৩,৩০৪ ভোট। বিজেপি প্রার্থী রেবতি ত্রিপুরা ২,০৪,২৯০ ভো টের ব্যবধানে জয়ী হন।এবার বিজেপিমোথা আইপি এফ টি এই তিন দলে র টিপল ইঞ্জিন জোট তৈরি হয়েছে। এই ক্ষেত্রে শুধু লোক সভা কেন্দ্র নয় দুই হেভিওয়েট নেতা সহ ইন্ডিয়া জোটের বিজয়ী ছয় বিধায়কের ও কি ঢাকি সহ মনসা বিসর্জন হবে এই প্রশ্ন ও ঘোর পাক খাচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ