থানায় হামলার অভিযোগে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা!
কলমচৌড়া থানার ওসি প্রশান্ত দে কে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগে ৯ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কলমচৌড়া থানায় মামলা করেন ওসি সোমবার। জানা যায় চিনি বোঝায় গাড়ির ধাক্কায় গত ২৫শে মে রাতে গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন ব্যবসায়ী রামপ্রসাদ দেব। জিবিপি হাসপাতালে দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার সকালে চিকিৎসকের সমস্ত চেষ্টা ব্যক্ত করে দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রামপ্রসাদ দেব। রবিবার দুপুর বেলায় ব্যবসায়ী রামপ্রসাদ দেবের মৃতদেহ কলম চৌড়া থানার মূল ফটকের সামনে নিয়ে এসে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করতে থাকেন কতিপয় কিছু দুষ্কৃতিকারী অভিযুক্ত গাড়ি চালককে গ্রেফতার দাবিতে।কিন্তু কলমচৌড়া থানার ওসি প্রশান্ত দে গাড়ি সহ অভিযুক্ত চালককে ২৫ তারিখেই গ্রেপ্তার করে ২৬ তারিখে অভিযুক্তকে সোনামুড়া আদালতে সোপর্দ করেন। কিন্তু সড়ক অবরোধের নামে কলমচৌড়া থানায় প্রবেশ করে ওসির কোয়ার্টারে প্রবেশ বিয়ারের বোতল দিয়ে ওসির মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করেন তখন ওসি প্রশান্ত দে কোয়াটারে দরজা সঙ্গে সঙ্গে লাগানোর ফলে বোতলটি গিয়ে দরজায় লাগে ভেঙে যায় দরজা।রবিবার দুপুরে ওসিকে প্রানে মারার চেষ্টা করেন পাশাপাশি ওসির রুমের সমস্ত কিছু ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। পাশাপাশি নগদ তথ্য সহ একটি স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে নিয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ওসি কোন রকম বাথরুমে প্রবেশ করে নিজের জীবন রক্ষা করেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ ছুটে আসায় অল্প পেতে প্রাণে বেঁচে যান ওসি প্রশান্ত দে। ওসি প্রশান্ত কুমার দে জানান মৃত রামপ্রসাদ দেবের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করার সাথে সাথেই পুলিশ যথারীতি সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তাহলে কলমচৌড়া থানার পুলিশের কি দোষ? কি কারনে ওসি প্রশান্ত দে কে প্রানে মারার চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা।সেই প্রশ্নের উত্তর চায় ওসি। সিপাহীজলা জেলা পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশ মূলে ওসি প্রশান্ত কুমার দেকে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগে ৮ জন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সোমবার কলম চৌড়া থানায় মামলা দায়ের করেন ওসি। মামলা নাম্বার 35/2024/KLC ভারতীয় দণ্ডবিধি 147/149/427/353/384/120(b) ধারায় মামলা গ্রহণ করলো পুলিশ। অভিযুক্তরা হলো ১.মানিক লাল দাস ২. রঞ্জন দেব ৩. আশিস বিশ্বাস ৪. সুভাষ দেব ৫. সুখেন দাস ৬. বিকাশ ভট্টাচার্যী ৭.গোবিন্দ সূত্রধর ৮.প্রণব নম:। জানাযায় বর্তমানে অভিযুক্তরা পলাতক। উক্ত ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উক্ত মামলার ইনভেস্টিগেশন অফিসার ইন্সপেক্টর সৈকত দাস।

0 মন্তব্যসমূহ