ফের চুরাবাড়ি থানা এলাকায় দুঃসাহসিক ডাকাতি,লুট শোনা গয়না মোবাইল সহ নগদ অর্থ।তদন্তে পুলিশ।

 ফের চুরাবাড়ি থানা এলাকায় দুঃসাহসিক ডাকাতি, লুট শোনা গয়না মোবাইল সহ নগদ অর্থ।তদন্তে পুলিশ।


কিষান মল্লিক চুরাইবাড়ি প্রতিনিধি। ৩১ জুলাই। 

কয়েকদিন বিরতির পর ফের চুরাইবাড়ি থানা এলাকায় ঘটে গেল ভয়ংকর ডাকাতির ঘটনা।ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত মহিলাকে। লুট সোনা গয়না সহ নগদ অর্থ এবং মূল্যবান আসবাবপত্র।ঘটনা মঙ্গলবার রাত আনুমানিক দেড়টা নাগাদ উত্তর ত্রিপুরা জেলার চুরাইবাড়ি থানাধীন চুরাইবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নং ওয়ার্ড এলাকায়।ঘটনা সম্পর্কে বাড়ির মালিক আব্দুল রহিম বয়স (৩৫) পিতা আব্দুল মালিক জানান তিনি পেশায় একজন লরি চালক।তাই এদিন রাতে তিনি বাড়িতে ছিলেন না।সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পাঁচ ছয় জনের এক ডাকাত দল ঘরের পেছনের দরজা ভেঙে উনার ঘরে প্রবেশ করে।তখন ওই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন উনার স্ত্রী সহ দুই সন্তান।ডাকাত দলের মধ্যে একজন ঘরে প্রবেশ করে এবং বাকিরা বাইরে পাহারা দেয়।


সেই সময় ঘরে প্রবেশ করা কুখ্যাত ডাকাত উনার স্ত্রীর গলায় ধারালো দাও ধরে আলমিরার চাবি দিতে বলে এবং উনার নাকে কানে গলায় যে সমস্ত গয়না পরা ছিল সেগুলিও খুলে দিতে বলে।প্রথমে তিনি দিতে অস্বীকার করলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে,পরে প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে সবকিছু দিতে বাধ্য হন।যদিও তখন পাশের রুমে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন কিন্তু কেউই সামান্য আচ করতে পারেননি বিষয়টি।শুধু তাই নয় চিৎকার চেচামেচি করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ডাকাত দলের সদস্য।পরে ডাকাত দলটি পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি বাড়ির অন্যান্যদেরকে ডেকে বিস্তারিত জানান।খবর দেন স্বামীকেও।ততক্ষণে ঘা ঢাকা দেয় ডাকাত দল।পরে খবর দেওয়া হয় চুরাইবাড়ি থানায়।পুলিশ এসে ঘটনার তদন্ত করে যায়।লিখিত আকারে পুলিশকে অভিযোগ জানানো হয়।ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় আড়াই লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকা হবে বলে জানান গৃহস্ত।এদিকে উনার স্ত্রী রেহানা বেগম জানান প্রতিদিনের ন্যায় খাওয়া-দাওয়া শেষে সন্তানদের নিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন।রাত আনুমানিক দেড়টা নাগাদ উনার শোবার ঘরের পেছনদিকের একটি দরজা ভেঙ্গে মুখে কালো কাপড় বাধা এবং হাঁপ পেন্ট পরিহিত এক দুষ্কৃতি উনার ঘরে প্রবেশ করে।তখন উনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে।নিজের এবং সন্তানদের প্রাণ রক্ষা করতে গিয়ে উনার সমস্ত অলংকার,নগদ অর্থ,মোবাইল,সহ অন্যান্য কিছু সামগ্রী দিতে হয় দুষ্কৃতীদের।সেই সময় একজন ঘরে প্রবেশ করলেও বাকিরা বাইরে ছিল বলে দাবি করে ঔ ডাকাত সদস্য।চিৎকার করলে বাড়ির সবাইকে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয়।এমত অবস্থায় উনার কিছু করার ছিল না।তাই সর্বস্বই লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দলটি।ক্ষতিগ্রস্ত স্বামী স্ত্রী উভয়েই পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান যে ঢাকাত দলটি কে সনাক্ত করে উচিত শান্তি দেওয়া হোক।এখন দেখার বিষয় পুলিশ এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ