Big Breaking: অগ্নিদগ্ধ হয়ে আত্মহত্যা ৪৫ বছর বয়সি এক মহিলার। জানা গেছে বিশালগড় থানার অন্তর্গত চাম্পামুরা কপালী পাড়া এলাকার মন্টু শীল এর স্ত্রী টিংকু রানী শীল বেশ কয়েক বছর ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং বেশ কয়েক বছর ধরে চিকিৎসাও চলছিল উনার।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার ভোরে পরিবারের লোকজনদের অলক্ষে ঘরের পাশের বাথরুমে গিয়ে টিং রানি শীল নিজেই নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয়।
কিছুক্ষণ পর ওনার এক নিকট আত্মীয়সহ উনার এক ছেলে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করতে পেরে চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের বাড়ি ঘরের লোকজন ছুটে এসে বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে টিংকু রানী শীলের অগ্নিদগ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখে। খবর দেওয়া হয় বিশালগড় মহিলা থানায়। খবর পেয়ে বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে অগ্নিদগ্ধ মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিশালগড় মহকুমা হাসপাতাল মরগে পাঠিয়ে দেয়। মৃত্যুকালে উনি উনার স্বামী সহ দুই পুত্র সন্তানে রেখে গেছেন। টিংকু রানী শীলের পরিবারসহ স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন তাদের সংসারে কোন ধরনের ঝামেলা ছিল না এবং তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মঙ্গলবারও উনাকে ডাক্তার দেখানোর কথা ছিল। বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশ এই ব্যাপারে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। জানা গেছে ময়নাতদন্তের পর মহিলার মৃতদেহ উনার পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে টিংকু রানী শীলের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে গোটা এলাকায় গভীর সুখের ছায়া নেমে আসে।


0 মন্তব্যসমূহ