যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে মেরে অর্ধমৃত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রাখে স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ি লোকজন! আড়াই বছরের কন্যা সন্তানকে প্রাণে মারা হুমকি!!
যৌতুক কথাটাই যেন মেয়েদের জীবনের এক অভিশাপ।প্রতিনিয়ত যৌতুক কথাটি কেড়ে নিছে বহু গৃহবধুর প্রাণ,শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে বহু গৃহবধূ।প্রাণ দিতে দিতে হচ্ছে অনেক গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের। সরকার যৌতুকের উপর নিয়ম লাঘু করার পরে ও কোন কিছুতেই যেন পাত্তা দিচ্ছে না সমাজ। ঠিক তেমনি ঘটনা ঘটে গেল শনিবার সকালে বিশালগড় বাইদ্যাদীঘি কসবা এলাকায়। জানাযায় বক্সনগর আশাবাড়ি এলাকার চন্দন কুমার শীলের কন্যা তুলসী রানী শীলকে সামাজিকভাবে বিয়ে করে ৬ বছর পূর্বে বাইদ্যাদীঘি কসবা এলাকার মুকুল শীলের ছেলে রাজিব শীল। বিয়ের পর থেকে শুরু গৃহবধূ উপর বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসাবে টাকা সহ স্বর্ণালংকার আনতে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার।
প্রতিনিয়ত গৃহবধূকে আক্রমণ করেন শাশুড়ি মুকুল শীল, স্বামী রাজিব শীল,দেবর সঞ্জীব শীল। গৃহবধূ শশুর বাড়ি লোকেদের অত্যাচার প্রতিনিয়ত সহ্য করে যাচ্ছে কেননা গৃহবধূর বাবা একজন দিনমজুর কোথায় থেকে এনে দেবে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির চাহিদা মত টাকা। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশি সভা হয়। কিছুদিন পরপরই স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ি লোক প্রতিনিয়ত গৃহবধুর উপর আক্রমণ করেন তারপরও গৃহবধূর সহ্য করে যাই কেননা কোন একটা সময় হয়তো সেটা বন্ধ হয়ে যাবে কিন্তু না। তার মাত্রা প্রতিনিয়ত বেড়ে যায়। এই অত্যাচার মধ্যে তাদের একটি আড়াই বছরের কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তারপরই শ্বশুরবাড়ি লোকেদের আক্রমণ ও অত্যাচারের মাত্রা গৃহবদের উপর যেন আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়। শনিবার তার সীমানা ছাড়িয়ে যায়। গৃহবধূকে মারতে মারতে স্বামী শ্বশুরবাড়ি লোকজন গোলাঘাটি- বিশালগড় সড়কে ফেলে রাখে।এমনকি গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা হুমকি দেয় যদি শনিবারের মধ্যে গৃহবধূর বাবার বাড়ি থেকে টাকা সহ স্বর্ণালংকার এনে না দেয় তাহলে আড়াই বছরের শিশু কন্যাকে বাড়িতে মেরে ফেলবে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গৃহবধূর অসহায় বাবা সহ পরিবারের সদস্যরা গৃহবধূকে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর মায়ের মন আড়াই বছরে কন্যা সন্তানকে বাঁচানোর লক্ষ্যে পাচন্ড স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ি লোকেদের আতঙ্কে অসহায় বাবাকে নিয়ে বিশালগড় মহিলা থানায় দারস্ত হয়ে আড়াই বছরের কন্যা সন্তানকে উদ্ধার করার চিৎকার শুরু করেন। কোথায় রাজ্যের মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্না দেববর্মা সহ উনার টিম? এমনটি যেন হাহাকার লেগে যায় বিশালগড় মহিলা থানার মূল ফটকে আগরতলা বিশালগড় সড়কে। রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্না দেববর্মা অসহায় গৃহবধুর পাশে থেকে আড়াই বছরের কন্যা সন্তান উদ্ধারের জন্য কি ভূমিকা গ্রহণ করেন সেই দিকে তাকিয়ে অসহায় পিতা সহ বিশালগড় ও বক্সনগরের জনগন। রাজ্য সরকার যতই মহিলাদের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্প চালু করুক না কেন মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ প্রশাসন। এমনটি যেন মনে করেন কন্যা সন্তানদের বাবা সহ তার পরিবারের সদস্যরা।


0 মন্তব্যসমূহ