অধীর চৌধুরী সভাপতির পথ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাহলে এবার কি বিজেপিতে যোগ দিয়ে ত্রিপুরা থেকে রাজ্য সভার সদস্য হচ্ছেন। এই নিয়ে বঙ্গরা জনীতিতে উথাল পাথাল চলছে।
=======(বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য)=======
অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পথ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাহলে এবার কি তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়ে ত্রিপুরা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হতে চল ছেন।এই নিয়ে বঙ্গ রাজনী তির উথাল-পাথাল ঢেউ ত্রিপুরা রাজ্য ও এসে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জা তীয় কংগ্রেসের একজন মহি রুর নেতা হিসাবে পরিচিত।পশ্চিম বাংলার বহরমপুর কেন্দ্র থেকে একনাগাড়ে ছয়বার জয়ী হয়েছেন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে তিনি ছক্কা মারতে ব্যর্থ হয়ে ফক্কা হয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী ইউ সুফ পাঠানের বলে তিনি বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এর আগ পর্যন্ত তিনি লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। কংগ্রেস নীতি নির্ধারণ কমিটির তথা ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য এই অধীর রঞ্জন চৌধুরী কি শেষ পর্যন্ত বিজেপি দলের দিকে পা অগ্রসর করে রেখে ছেন। বঙ্গ রাজনীতি এবং দি ল্লি র রাজনীতির বিশেষ একটি সূত্র দাবি করছে যে কংগ্রেসের এই বলিষ্ঠ নেতাকে গেরুয়া শিবির তাদের ঘরে তুলতে অহর্নিশি কাজ করে চলছে। বিজেপি দলের দিল্লি সরকারের এক মন্ত্রীকে কংগ্রেসের এই বলিষ্ঠ নেতার সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযো গ রাখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ।অনেকেই বলছেন গেরুয়া শিবির এই পরিকল্প নায় সফল হতে চলছে। রাজ নৈতিক সূত্রটি থেকে জানা গেছে গেরুয়া শিবির এই কা জে সফল হলে অধীর চৌধু রীকে উপযুক্ত সম্মান দেওয়া হবে।বিজেপি দলে আসলে তাকে ত্রিপুরা থেকে রাজ্য সভার সাংসদ করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হবে। অধীর চৌধুরী সাংসদ হিসেবেও সফল। ভারতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সংস্কৃতি নিয়ে তিনি বেশ দক্ষ। সাংসদ থাকাকা লীন সময়ে তার বক্তব্যে সেই সমস্ত গুনা গুনগুলি ফুটে উঠেছিল। অধীর চৌধুরীর দল বদল নিয়ে বঙ্গের কয়েকটি মিডিয়ায় গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। একটি মিডিয়া থেকে তাদের বক্তব্য ১০০% সঠিক বলে দাবি করা হয়েছে। দেশের রাজনীতিতে এই ধরনের সম্ভাবনাবহুক্ষেত্রে দেখা গেছে। পশ্চিম বাংলার নিশীথ প্রামাণিক কে তৃণমূল থেকে ভাঙ্গিয়ে দেশের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছি ল। সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই গুণ রয়েছে। কংগ্রে সের সাংসদ সন্তোষ তনয়া সুস্মিতা দেব কে তৃণমূলে যোগদান করিয়ে পশ্চিম বাংলার রাজ্যসভার থেকে সাংসদ করা হয়েছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব রাজ্যসভার থেকে পদত্যাগ করে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। ফলে ত্রিপুরার রাজ্যসভার আসন শুন্য।এই শূন্য আসনে মনোনয়নের জন্য প্রথমে দুই নেতার নাম উঠে এসেছিল।প্রাক্তন উপমু খ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী মতি প্রতিমা ভৌমিকের নাম নিয়ে ভাবা হয়েছিল। রাজ্য সভার সাংসদের দৌড়ে এই এই দুই বিজেপি নেতা ছিলেন। কয়ে ক দিন পূর্বে জিষ্ণু দেবব র্মাক তেলেঙ্গানা প্রদেশের রাজ্যপা ল করা হয়।এই ক্ষেত্রে বর্তমা নে প্রধান দাবিদার শ্রী মতি প্রতিমা ভৌমিক।কিন্তু নতুন এই সম্ভাবনায় শ্রীমতি প্রতিমা ভৌমিক অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ছে ন।কংগ্রেসের রাজনীতিতে প্রাক্তন সাংসদ বর্তমান সদ্য পদত্যাগী পশ্চিমবাংলার প্র দেশ কং গ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বেশ ব্যাক ফুটে। বাং লার মমতা সরকারের ভূমিকা য় এই কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। অধীর চৌধুরীর অভিমত হল তৃণ মূলের সাম্প্রদায়িক বিভাজ নের কারণে একমাত্র বহরম পুরে তিনি হরেননি সারা পশ্চি মবঙ্গে কংগ্রেস গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে।কংগ্রেস ওয়ার্কিং ক মিটি তথা সভাপতি মল্লিকার জ্জুন খাগড়ে অধীর চৌধুরীর বক্তব্যে সহমত পোষণ করতে পারেননি। তিনি অধীর চৌধু রীকে সতর্ক করেন। এই নিয়ে কেন্দ্রীয়নেতাদের সাথে অধীর চৌধুরীর দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায়। যতদিন অগ্রসরত এই দ্বন্দ্ব এবং দূরত্ব বাড়ছে। গেরুয়া শিবির কংগ্রেসের এই আভ্য ন্তরীন কোন্দল থেকে ফায়দা তোলতে সচেষ্ট রয়েছে। অধীর চৌধুরীকে দলে ভিড়িয়ে ত্রিপু রা থেকে রাজ্যসভার শূন্য আ সনে প্রার্থী করার দিকে এগি য়ে চলছে বলে জানা গেছে। এই ধরনের সংবাদ ত্রিপুরার আকাশে বাতাসেও ঘুরপাক খাচ্ছে।

0 মন্তব্যসমূহ