মহকুমা খাদ্য বিভাগের ক্যাশিয়ার নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত। ফলে অত্যাবশ্যকীয় কাজকর্ম মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিশেষত লংতরাইভ্যালি মহকুমার গন বন্টন ব্যবস্থা যেকোন সময়েই মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
ভারত সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকদের ঘরে রেশন সমগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম তথা পিডিএস চালো করেছে। এই কাজকে আরো সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার জন্য ন্যায্য মূল্যের দোকানের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি করা হয়েছে তেমনি দোকান গুলি সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য কমিশন প্রথা চালু করেছে। খাদ্য দপ্তর প্রতিমাসে ন্যায্য মূল্যের দোকান গুলির কমিশন মিটিয়ে দেওয়ার কথা। গত ছয় বছর ধরে এই নিয়ম চালু রয়েছে। ন্যায্য মূল্যের দোকান গুলি সঠিক সময়ে কমিশন পাওয়ার কারনে গ্রাহক পরিষেবাও ঠিকঠাক রয়েছে। কিন্তূ নির্বাচন প্রক্রিয়া চলার কারনে এই স্বাভাবিক নিয়ম ব্যাহত হচ্ছে। ন্যায্য মূল্যের দোকান গুলি সময় মত কমিশন পাচ্ছে না বলে সুত্রের খবর । এতে গ্রাহক পরিষেবা যেকোন সময়েই মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। লংতরাইভেলি মহকুমায় সাব ডিভিশনে মোট ৭৪টি ন্যায্য মূল্যের দোকান রয়েছে বলে জানা গেছে।মহকুমার এই দোকান গুলি গত দুই মাস ধরে কমিশন পাচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে লংতরাইভ্যালি মহকুমার খাদ্য বিভাগের ক্যাশিয়ারকে নির্বাচনের কাজে নিয়োগ করা হয়েছে।ফলে তিনি অফিসে এসে কাজ করতে পারছেন না।রেশনস্যুপ গুলির কমিশন রিলিজ করতে পারছেন না। ফলে দোকান মালিকরা কমিশন পাচ্ছে না। এতে আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়েছে মহকুমার ৭৪টি দোকান। এর ফলে পরোক্ষভাবে গ্রাহক পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার সম্বভনা দেখা দিচ্ছে।বৈদ্য নাথ ভট্টাচার্যীর রিপোর্ট।

0 মন্তব্যসমূহ