পশ্চিম ত্রিপুরা কার দেখলে যাচ্ছে?

 পশ্চিম ত্রিপুরা কার দেখলে যাচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এক সচেতন ভোটার আমতলীতে অবস্থিত দুটি রাজনৈতিক দলের দুটি পার্টি অফিস দেখিয়ে দিলেন।

 ======================(বৈদ্য নাথ ভট্টাচাৰ্য )==== মঙ্গলবার সকালের দৃশ্যপট। বিশ্রামগঞ্জ  যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে আমতলী যাত্রী শেডে ব সে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিচ্ছিলা ম।জনজাতি সম্প্রদায়ের এক ভদ্রলোক ও  বিশ্রামগঞ্জে যা ওয়ার জন্য গাড়ির জন্য অ পেক্ষা করছে। আগ বাড়িয়ে কথা শুরু করে দিলাম। কথা বলে মনে হচ্ছিল ভদ্রলোক বেশ শিক্ষিত। গাড়ি আসতে দেরি হচ্ছে তাই আলোচনা নির্বাচন প্রসঙ্গে টেনে নিলাম।   আলোচনা প্রসঙ্গে ঐ ভদ্রলো ককে প্রশ্ন করলাম দাদা পশ্চি ম ত্রিপুরা কোন দিকে যাচ্ছে? এই প্রশ্ন করতেই উনি আমা কে জিজ্ঞেস করলেন আপনি কি সাংবাদিক? পশ্চিম ত্রি পুরা কোন দিকে যাচ্ছে তা বলবো না।কিন্তু আপনাকে একটি দৃশ্য দেখাচ্ছি। আমরা যেখানে বসে বিশ্রামগঞ্জ যাও য়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম তার পাশেই  পাশেই আমতলী থানা। আমতলী থানার ১০০ মিটারের মধ্যে  মার্কসবাদি কমিউনিস্ট পার্টির এবং বর্ত মান শাসক দল বিজেপির সূর্যমনি নগর বিধানসভা মন্ডল অফিস। সিপিএম দলের পার্টি অফিস তিন তলা। বিশাল এলাকা নিয়ে  অবস্থিত। জন মানব শূন্য। নেতাকর্মী নেই। ফাঁকা করছে। প্রায় গড়ের মাঠ।ঐ ভদ্রলোক অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বলেন এক সময়ে আমতলী পার্টি অফিস থেকে সমস্ত সাংগঠনিক কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করা হতো।দিনরাত পার্টি অ ফিস গমগম করত। নির্বাচন আসলে কয়েকশত পার্টি কর্মী এই আমতলী পার্টি অফিসে রাত্রি যাপন করত।এখন রাতে দূরের কথা দিনেও কোন কর্মী সমর্থক আসেনা। চৈত্র মাসের খরায় এখন খা খাকরছে।কা লেভদ্রে পার্টি অফিসের ঝাঁপ খোলা হলেও খদ্দের আসে না অন্যদিকে বিজেপি অফিসে উল্টা চিত্র।প্রায় একশত যুব কর্মী মিছিল করার জন্য অ পেক্ষা করছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দলীয় প্রচারে বেরিয়ে পড়বে। এই অবস্থা শুধুমাত্র আমতলী পার্টি অফিস নয়। পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের প্রায় আশী শতাংশ পার্টি অফিসের এখন ও গেইটের তালা খোলা হয়নি।ভদ্রলোক জানালেনকং      গ্রেসের অবস্থা আরো খারাপ। বিশ্রামগঞ্জ চরিলাম বিধান স ভার অন্তর্গত। এই বিধানসভা থেকে কংগ্রেস দলের  অশোক দেববর্মা যেমন জয়ী হয়েছিলে ন কেমনি বিজেপির দলের জিষ্ণু দেববর্মা ও জয়ী হয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। বর্ত চরিলাম বিধান সভা ত্রিপ্রা মোথা  দলের দখলে।এক স ময়  চরিলাম বিধান সভা কং গ্রেসে দলের গড় ছিল। পরি মল থেকে মতিলালরা এই বি ধানসভা থেকে জয়ী হয়ে রা জ্য রাজনীতির প্রাদপ্রদীপে উঠে এসেছিলেন।কিন্তু এই রূপ কংগ্রেস দুর্গে কংগ্রেসের পার্টি অফিসেই নেই। শিক্ষিত রাজনৈতিক সচেতন ভদ্র লো ক  পশ্চিম ত্রিপুরা কোন দিকে যাচ্ছে তার প্রাথমিক একটি গতি প্রকৃতি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আমাকে বুঝিয়ে দিলেন।আ সলে 1952 সাল 2024 সাল পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময়ে রাজ্য রাজনীতিতে অনেক উলট পুরান হয়েছে।যারা এক সম য়ে বাঘে মহিশের মত লড়াই করেছিল।কালের পরিবর্তনে এরা এক ঘটে জল খাচ্ছে। কিন্ত এর মধ্যে হয়ে গেছে মহা বিপ্লব। বিপ্লব দেব ত্রিপুরায় এ সে সত্যি বিপ্লব ঘটিয়ে দিযে ছেন। বাসে বসে ঐ ভদ্র লোক বলার চেষ্টা করেছেন কোন অঘটন না ঘটলে এবারের পূর্ব ত্রিপুরার আসনে নতুন বিপ্লব ঘটতে চলছে।আরো কয়েক জন সাধারণ ভোটেরদের সা থে কথা বলা হয়েছে।প্রায় স বাই একই অ্যাঙ্গেলে বক্তব্য রেখেছেন।এর মধ্যে কয়েক জন বর্তমান শাসক দলকে জুমলা দল বলে আখ্যায়িত করেছেন। প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারিনি যে দল সেই দলের নাম বিজি পি দল বলে অভিযুক্ত করেছে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গসহ প্রতিষ্ঠান বি রোধী যে হাওয়া রয়েছে বিরো ধী জোট সেটা কাজে লাগাতে পারেনি বলে অভিমত পাওয়া গেছে। প্রতিটি বিধানসভাতেই  নেতা মন্ত্রীদের পাঞ্জা প্রাপ্য হা তে গোনা গুটি কয়েক  সমস্ত লুটেপুটি নিচ্ছে। কিন্তু ইন্ডিয়া জোট পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে জুট বদ্ধ লড়াই করতে তেমন ভাবে সক্ষম হয়নি বলে অভি মত পাওয়া গেছে।আমতলী বটতলা রোডের এক অটো রিক্সা চালকের বক্তব্য হল বি রোধীরা ভয় প্রচারের জন্য বের হতে পারছেনা। কোন জ নসভা করতে পারেনি। ঐক্য বদ্ধ জোট হলে বিজেপি দল পরাস্ত হবে বলে  ওই অটো রিক্সা চালকের বক্তব্য। পরি সংখ্যান থেকে দেখা গেছে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রা র্থী প্রতিমা ভৌমিক ৫ লক্ষ ৭৩,৫৩২ ভোট পেয়েছিলেন। কংগ্রেস প্রার্থী সুবল ভৌমিক পেয়েছিলেন ২লক্ষ ৬৭হাজার    ৮০৪ ভোট,সিপিআইএম পার্টি সংকর প্রসাদ দত্ত পেয়েছিলে ন ১,৭১ হাজার ৮২৬ টি ভোট, আইপিএফটি বৃষকেতু দেবব র্মা পেয়েছিলেন ৪৪,২২৫ টি ভোট, তৃণমূল কংগ্রেসের মো হন খান পেয়েছিলেন ৮,৬১৩ ভোট। এবারের নির্বাচনী ময় দানে নয়জন প্রার্থী থাকলেও মূল লড়াই হচ্ছে বিজিপিজোট এবং ইন্ডিয়া জুটের মধ্যে।ত্রিশ টি বিধানসভা নিয়ে পশ্চিম ত্রি পুরা সংসদীয় আসন।এই আ সন গুলির মধ্যে  বিজিপির দলে রয়েছে ১৯টি বিধানসভা, চরিলাম, গোলাঘাটি, টাকার জলা, মান্দাই,সিমনা এই পাঁচ টি বিধানসভায় রয়েছে ত্রিপ্রা মোথার দলের দখলে এবং বি লোনিয়া, প্রতাপগড়, বামুটিয়া বড়জলা, কৃষ্ণনগর, বনমালী পুর এই ছয়টি বিধানসভা রয়ে ছে সিপিএম কংগ্রেস জোটের দখলে।এই আসন থেকে ইতি পূর্বে স্বর্গীয় বিরেন দত্ত দুইবার বংশী দেববর্মা, শচীন্দ্র লাল সিংহ,অজয় বিশ্বাস,সন্তোষ মোহন দেব, বাদল চৌধুরী খগেন দাস, শংকর প্রসাদ দত্ত শ্রীমতি প্রতিমা ভৌমিকরা নি বাচিত হয়েছেন। শ্রীমতি প্রতি  মা ভৌমিকই ছিলেন একমাত্র মহিলা সাংসদ।কিন্তু এবার বি জেপি দল পশ্চিম ত্রিপুরা সং সদীয় আসনে আরো বিপ্লব ঘটানোর জন্য প্রতিমা দেবীকে ছাটাই করে বিপ্লব দেব কে ময়দানে  নামিয়ে। নির্বাচনী প্রচারে বিপ্লব টিম অল আউট ফুটবল খেলে  অন্তত প্রচারের দিক থেকে কিছুটা হলেও এ গিয়ে রয়েছেন বলে ভোটার এবং সাধারণ মানুষের অভি মত।তবে গন দেবতারে ভোট বাস্কে কি বিপ্লব ঘটাতে চল ছে ন? তার জন্য চৌঠা জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।                     ====================আমতলী সিপিএম দলের পার্টি অফিস। মঙ্গলবার ক্যামেরা বন্দি করেছেন বৈদ্য নাথ ভট্টাচাৰ্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ