অগ্রীম কোনো ঘোষণা ছাড়া মানুষদের সাথে হয়রানি করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
১৬ এপ্রিল মংগলবার সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলেও স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কৈলাসহর শাখা ও সেন্ট্রাল ব্যাংকের কৈলাসহর শাখা বন্ধ ছিলো। স্টেট ব্যাংকের মত জাতীয় মানের একটি ব্যাংকের শাখা হঠাৎ করে বন্ধ করে রাখায় গ্রাহকরা হতভম্ব হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে গ্রাহকরা তাদের নিজেদের জমানো টাকা তোলার জন্য ব্যাংকের সামনে গেলে গ্রাহকরা লক্ষ্য করেন ব্যাংক বন্ধ। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কৈলাসহর শাখা ও সেন্ট্রাল ব্যাংকের কৈলাসহর শাখা বন্ধ রাখার ফলে গ্রাহকরা তাদের সঞ্চিত টাকা তুলতে পারেননি। সামনেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভর্তির জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। কিন্তু এক গ্রাহক তার সন্তানকে বহি রাজ্যে ভর্তি করার জন্য টাকা তুলতে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার কৈলাসহর শাখার সামনে গেলে তিনি দেখেন ব্যাংক বন্ধ। টাকা তুলতে না পারায় এক অভিভাবক জানান তার সন্তানের বহি রাজ্যে ভর্তির বিষয়টি
অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে। অপর এক গ্রাহক জানান তার এক নিকট আত্মীয় বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে বহি রাজ্যে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসার জন্য আজকেই মোটা অংকের টাকা পাঠানোর প্রয়োজন। ব্যাংক বন্ধ থাকায় তিনি তার নিজের সঞ্চিত টাকা পর্যন্ত আজ তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। একটি জাতীয় মানের ব্যাংক হঠাৎ করে এভাবে বন্ধ করে দেওয়ায় গ্রাহকরা বিপাকে পড়েছেন। তবে খবর নিয়ে জানা গেছে নির্বাচন দপ্তরের তরফ থেকে আজ ব্যাংক কর্মচারীদেরকে নিয়ে মাইক্রো অবজারভারের ট্রেনিং রয়েছে। নির্বাচন দপ্তরের এ ধরনের সিদ্ধান্তে হতবাক সাধারণ গ্রাহকরা। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার ব্যাংকের কয়েকজন কর্মচারীকে নির্বাচনের কাজে নিয়ে যাওয়ার ফলে অন্য কর্মচারীরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পুরো ব্যাংকে বন্ধ রেখে দিয়েছে। দূর দূরান্ত থেকে গ্রাহকরা নিজেদের সঞ্চিত অর্থ তুলতে কিংবা অন্যত্র পাঠাতে আজ ব্যর্থ হয়েছেন। গ্রাহকরা অভিযোগ তুলেছেন ব্যাংক বন্ধের পিছনে নির্বাচন কমিশন দায়ী না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেটাই এখন বড় প্রশ্ন

0 মন্তব্যসমূহ